Advertisement

21 July Menu: ডিম-ভাত খেতে লম্বা লাইন, ২১ জুলাইয়ের মেনুুতে আর কী কী?

প্রতিবারের মতো এ বার একুশের কর্মসূচিতে আসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এ বারের একুশে স্বাভাবিক ভাবে উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তাই কর্মসূচির বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই কলকাতামুখি হয়েছে মানুষ।

'ডিম-ভাত' খেতে লম্বা লাইন শুরু
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 20 Jul 2024,
  • अपडेटेड 12:58 PM IST

রাত পোহালেই তৃণমূলের একুশে জুলাই সমাবেশ। ধর্মতলা  জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি। এদিকে, জেলা থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে শুক্রবার থেকেই লোক ঢুকতে শুরু করেছে হর কলকাতায়। নেতাজি ইন্ডোর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সল্টলেক স্টেডিয়াম, ইকো পার্ক, সেন্ট্রাল পার্কে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।  বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে, বাসে চড়ে কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা।  দুটি বড় জয়ের পর, এই সমাবেশ নিঃসন্দেহে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের কাছে স্পেশাল। স্বভাবতই, এবার ২১ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজনৈতিক মহলই।

বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের জন্য বিভিন্ন খাবার রান্না করা হচ্ছে। শিবিরে থাকা তৃণমূল কর্মীদের জন্য স্পেশাল মেনু রাখা হয়েছে। ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের একটা বৃহত্তম রাজনৈতিক কর্মসূচি। এই দিনটিতে যাতে ভালভাবে কর্মসূচি করা যায় তার জন্য বেশকিছু দিন ধরে চলে কর্মযজ্ঞ। দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব থেকে নিচুতলার কর্মীরা এই দিনটির অপেক্ষায় থাকেন এবং একইসঙ্গে নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেন এই দিনটি সফল করার জন্য। কর্মসূচির কয়েকদিন আগে থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতায় আসতে শুরু করেন জেলার নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা। দলের তরফেও ব্যবস্থা করা হয় বিভিন্ন জায়গাতে তাঁদের থাকা খাওয়ার। এবং খাওয়ার হিসেবে মেনুতে থাকে ডিমের ঝোল আর গরম ভাত। এই কর্মসূচির অন্যতম জনপ্রিয় খাবারও এই ডিম-ভাত। কোনও পরিবর্তন না করে প্রতিবছর একই ভাবে এই মেনুই চলে আসছে। আর দলের কর্মী সমর্থকেরাও তৃপ্তি করে চেটেপুটে এই খাবারই খেয়ে চলেছে।

প্রতিবারের মতো এ বার একুশের কর্মসূচিতে আসছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। লোকসভা ও বিধানসভা উপনির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর এ বারের একুশে স্বাভাবিক ভাবে উৎসাহ ছিল অনেক বেশি। তাই কর্মসূচির বেশ কয়েকদিন আগে থাকতেই কলকাতামুখি হয়েছে মানুষ। ২১ শে জুলাইয়ের আগে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে তৈরি হয়েছে হিমঘর। ডিমের হিমঘর। এক ধারে সেদ্ধ করা হচ্ছে রাশি রাশি ডিম। অন্যদিকে ভাজা হচ্ছে তা। তারপর ক্রেটে ক্রেটে সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। শহিদ দিবসের জন্য জেলা থেকে আসতে শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের অন্তত দু'বেলা ডিমভাত খাওয়ানো হবে।

Advertisement

ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের কিচেনে  কর্মী-সমর্থকদের জন্য ভাতের সঙ্গে সোয়াবিন-আলুর তরকারি এবং ডিমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পেই তৃণমূল কর্মীদের মেনুতে দেখা যাবে ডাল এবং ভাত। দূরদূরান্তের কর্মীদের কথা ভেবে ভারী কোনও খাবার রাখা হচ্ছে না।  সঙ্গে থাকছে নিরামিষ সবজি। তারপরেই তৃণমূল কর্মীদের জন্য রাখা হচ্ছে ডিমের ঝোল। এর পাশপাশি অনেকে শিশুদেরও নিয়ে আসছেন। শিশুদের জন্য দুধ-রুটিরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা তৃণমূল কর্মীদের জন্য আলাদা আলাদা খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। তবে মোটামুটি বেশিরভাগ ক্যাম্পেই রাখা হচ্ছে ডিমভাত। এদিন দুপুরের পাশাপাশি রাতেরও খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। পরের দিন সকালে ব্রেকফাস্টও দেওয়া হবে তারপরে সভাস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন কর্মীরা।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement