রাতে কালীপুজো পর্ব মিটেছে। কমছে বাজির আওয়াজ। শান্ত হয়েছে চারিদিক। তবে আবহাওয়ার মুখ কিন্তু আজও ভার। সকাল থেকেই মেঘ রয়েছে আকাশে। তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণের ৪ জেলায়। সেই তালিকায় উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে। তাই এই ৪ জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
তবে এই সব জেলায় যে খুব বৃষ্টিপাত হবে, এমনটা নয়। বরং হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তাই খুব একটা চিন্তার কিছু নেই। তবে বাইরে বেরলে সঙ্গে ছাতা রাখা মাস্ট। নইলে যখন তখন ভিজতে হতে পারে।
উত্তরেও কি আজ বৃষ্টি?
কিছুদিন আগেই ভারী বৃষ্টিতে ভেসেছে উত্তরবঙ্গ। বন্যাজনিত ধ্বংসলীলা থেকে এখনও পুরোপুরি বেরতে পারেনি অধিকাংশ জায়গা। তবে সেই দুর্যোগের পর থেকে মোটের উপর ভালই রয়েছে আবহাওয়া। বৃষ্টির খবর তেমন একটা নেই।
হাওয়া অফিসের দাবি, উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টি হবে না। এমনকী ভাইফোঁটা পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা নেই বলেই জানান হয়েছে।
বাতাসের মান ছিল খারাপ
কালীপুজোর আগে থেকেই বায়ুর মান ছিল খুবই খারাপ। আর সেটা চরম আকার ধারণ করে কালীপুজোর রাতে। এ দিন কলকাতা শহর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা বায়ুর মান ছিল খুবই খারাপ। কিছু কিছু জায়গায় ২০০-এর উপর ছিল AQI। আর এতটা AQI শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষত, ফুসফুসের ক্ষতি করে দিতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অ্যাজমা বা সিওপিডি রোগীদের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আবার ঘূর্ণাবর্ত
যতদূর খবর, ২৪ অক্টোবর, অর্থাৎ শুক্রবার আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত শক্তি সঞ্চয় করে শুক্রবার পৌঁছে যাবে তামিলনাড়ুর উপকূলে। তখন এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটা যদি ঘূর্ণিঝড় হয়, তাহলে এর নাম হবে মান্থা। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে তামিলনাড়ুর পুদুচেরিতে। আবার ওড়িশা উপকূলেও হতে পারে এর ল্যান্ডফল। যার ফলে আবার বাংলায় বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এখনই এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। এর জন্য হাওয়া অফিসের পরবর্তী বুলেটিনের অপেক্ষা করতে হবে।