
সোমবার, কালীপুজোর সন্ধ্যা। শুরু হয়ে গিয়েছে শব্দবাজির তাণ্ডব। সেকেন্ডে সেকেন্ডে জোরদার আওয়াজে কেঁপে উঠছে চারদিক। আর সেই শব্দে ভয়ে অস্থির হয়ে পড়ে পথকুকুরেরা। আতঙ্কে তারা চিৎকার শুরু করে দেয়। খুঁজে নিতে চায় নিরাপদ আশ্রয়। আর এমন পরিস্থিতিতেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে এক পথকুকুর চলন্ত মেট্রোয় উঠে পড়ে বলে দাবি। আর সেই ঘটনা নিয়েই এ বার বিবৃতি দিল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রোর তরফে খবর, বাজির শব্দে ভয়ে, আতঙ্কে অনেক পথুকুকুরই এ দিন মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়ে। বলা ভাল আশ্রয় নেয়। তবে তাদের মধ্যে একটি কুকুর গিরিশপার্ক থেকে ট্রেনে উঠে পড়ে। এই ঘটনা জানতে পেরে স্টেশনের সিকিউরিটিরা তাকে বার করে দেয়।
এছাড়াও মেট্রো জানায়, তারা অনুপ্রবেশকারীদের উপর কড়া নজর রাখে। কোনও প্রাণীর ক্ষতি করে না। সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নেয়। আর এটাও তেমনই একটা ঘটনার নিদর্শন ছিল বলেই মত তাদের।
আরও একাধিক স্টেশনে কুকুর ঢুকে পড়ে বলে খবর
এই বিবৃতিতে মেট্রো শুধু গিরিশপার্ক মেট্রো স্টেশনের কথাই উল্লেখ করেছে। যদিও সূত্রের খবর, আরও একাধিক স্টেশন পথকুকুর দেখতে পাওয়ার খবর মিলেছে। তবে এই বিষয় নিয়ে কিছুই বলেনি মেট্রো।
বাজির তাণ্ডব চলেছে শহরে
কালীপুজোর সন্ধের পরই শহরে শুরু হয়ে যায় শব্দতাণ্ডব। নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটতেই থাকে। যার ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষেরই কানে তালা লাগার অবস্থা হয়। ও দিকে শিশু এবং বয়স্কদের অবস্থা হয়ে ওঠে আরও শোচনীয়।
এছাড়া এই শব্দে খুবই ভয় পেয়ে যায় পথকুকুরেরা। আসলে তারা মানুষের থেকে যে কোনও শব্দই বেশি জোরে শোনে। আর হঠাৎ শব্দবাজি ফাটানোর ফলে তারা আরও বেশি ভয় পেয়ে যায়। যেই কারণে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকে। আর তাদেরই কিছু প্রতিনিধি নিরাপত্তা খুঁজে নেওয়ার আশায় মেট্রোর স্টেশনে আশ্রয় নেয়। তার পর ট্রেনে উঠে পড়ে বলে খবর।
বেড়েছে AQI
কালীপুজোয় কলকাতার অধিকাংশ জায়গার বাতাসের মানই খারাপ ছিল। AQI ছিল ১০০-এর উপর। আর এই পরিসংখ্যান ফুসফুসের জন্য খুবই খারাপ। এক্ষেত্রে বাচ্চা থেকে বুড়ো, সকলেরই সমস্যা হতে পারে। বিশেষত, অ্যাজমা বা সিওপিডি থাকলে বিপদ বেশি।
অর্থাৎ হাজার নিষেধাজ্ঞা, বারণ সত্ত্বেও এ দিন মানুষ কথা শুনল না। তারা নিজের মর্জিতেই বাজি ফাটিয়ে গেল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।