আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন। আর অধিবেশনের শুরুকেই বোমা ফাটালেন বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজেপি-তে যোগ দেওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এমনটাই মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
সৌমিত্র খাঁয়ের এই মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কারণ, কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বাঁকুড়ার সভা থেকে মন্তব্য করেন, 'তৃণমূলের ঘরে এমনিতেই গুঁতোগুঁতি লেগে গেছে, একদিকে পিসি, অন্যদিকে ভাইপো। আমাদের কিছুই করতে হবে না। ২৪ সালেই দেখবেন সরকার বদলাবে।' আর তারপরই সৌমিত্রর এই মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'পিসি-ভাইপোর কী নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়েছে সেটা বলতে পারব না। তবে মনোমালিন্য চরম আকার নিয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-তে যোগ দেবেন বলে আমার বিশ্বাস। এটা হওয়া এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।'
সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, 'নিজের দল ভেঙে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেছে। এটা তো সত্যি। যেমন মহারাষ্ট্রে একনাথ শিন্ডে। তিনি তো শিবসেনার সঙ্গত্যাগ করে বিজেপির সমর্থনে সরকার গঠন করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই পন্থা অবলম্বন করতে পারেন এতে আর আশ্চর্য হওয়ার কী আছে। আমাদের মনে হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিজেপি-তে যোগদান এখন অবধারিত। কারণ তিন রাজ্য়ে আমরা জিতেছি। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটের ফলাফল সামনে আসার পর কার্যত নিশ্চিত যে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে আমরাই ক্ষমতায় আসছি। অভিষেক তাই অস্তিস্ত রক্ষার জন্য বিজেপিতেই যোগদান করবেন, এটা স্বাভাবিক বলেই আমাদের মনে হয়।'
এদিকে সোমবারই উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বিজেপি নেতার তাঁকে নিয়ে যে মন্তব্য তার কোনও প্রতিক্রিয়া তিনি দেননি। বরং তিন রাজ্যে কংগ্রেসের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, 'দলে অনেক বর্ষীয়ান নেতা দরকার। কিন্তু কংগ্রেসের সমস্যা হল যোগ্যদের সাইডে রেখে নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা। সেজন্যই হেরেছে। এগুলো দরকার ছিল না। এগুলো আগে শুধরে নিলে এটা হত না। যদি কেউ ভাবে দীর্ঘদিন ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখব, তাহলে তাঁর পতন অনিবার্য।'