গত কয়েক মাস ধরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে বলে খবর। অতিসম্প্রতি দলের নেতৃত্বের ব্যাটনও নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে ক্ষমতা বেড়েছে তৃণমূলের 'মমতাপন্থী' প্রবীণ নেতাদের। এই প্রেক্ষাপটেই গুঞ্জন চলছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা দল নিয়ে মাঠে নামতে পারেন। সেই জল্পনার জবাব বৃহস্পতিবার দলের বুথস্তরের কর্মীদের সভায় দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন অভিষেক বলেন,'বাজারে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাবে! আরে আমার গলা কাটা হলেও কাটা গলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বেরোবে। আমি বেইমান নই'।
এই গোটা প্রচার সংবাদ মাধ্যমের একাংশ চালিয়েছে বলেও দাবি করেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, নতুন দল আসছে। বিজেপির হাতে তামাক খেয়ে প্রচার করছে কয়েকটা সংবাদমাধ্যম। আমি তাদের নাম করে সভার পরিবেশ নষ্ট করব না। খবরে একশোয় একশোটাই মিথ্যা'।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও এই অভিষেক কে তা স্পষ্ট করা হয়নি ওই চার্জশিটে। বৃহস্পতিবার চার্জশিটে 'অভিষেক' নাম থাকা নিয়েও জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন,'কাল খবরে দেখানো হয়েছে, সিবিআই চার্জশিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম রয়েছে। ২৮ পাতার চার্জশিটে দু'জায়গায় নাম লিখেছে। তাও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে, বাড়ি কোথায়, সাংসদ, বিধায়ক না পঞ্চায়েত, কার ছেলে- কোনও পরিচয় নেই। বিজেপি নেতারা যেমন ভাববাচ্যে কথা বলত, ই়ডি আর সিবিআই-ও তেমন কথা বলছে'।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর করার ডাকও দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর বার্তা,'যতবার লড়েছি গোহারা হারিয়েছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরব। তার মানে ১৯৫-১৯৬টি আসন। গতবার আমরা ২১৬টা আসন পেয়েছিলাম। আমি বলব, ২১৫-র বেশি আসন নিয়ে চতুর্থবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মুখ্যমন্ত্রী হন, সেই চেষ্টা করব'।