Advertisement

'মসজিদ হয়নি, খালি ইট রেখেছে', হুমায়ুনকে নিয়ে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া অভিষেকের

বিষয়টিতে খুব বেশি পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের জবাব হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ ইস্যুকে পাত্তা দিতেই রাজি হলেন না অভিষেক।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 27 Dec 2025,
  • अपडेटेड 8:28 PM IST
  • বিষয়টিতে খুব বেশি পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • অভিষেক বলেন, আমি তো দেখলাম কিছু ইট পড়ে রয়েছে।
  • হুমায়ুন কবীরের নতুন দল নিয়ে অভিষেক কী জানালেন?

২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে জোর আলোচনা চলছে বাবরি মসজিদ নিয়ে। কিন্তু বিষয়টিতে খুব বেশি পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি প্রশ্নের জবাব হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ ইস্যুকে পাত্তা দিতেই রাজি হলেন না অভিষেক।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, "কোথায় বাবরি মসজিদ তৈরি হচ্ছে। আমি তো দেখলাম কিছু ইট পড়ে রয়েছে। এখনও তো কিছু শুরু হয়নি। আগে মসজিদ তৈরি হোক...তারপর এটা নিয়ে কথা হবে। ঘোষণা নিয়ে কিছু বলা যায় না।" পাশাপাশি তিনি বলেন, যে কোনও ব্যক্তি মন্দির মসজিদ তৈরি করতেই পারেন। কিন্তু তাঁর উচিত রাজনীতি না করা।

হুমায়ুনকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, "যদি আপনিও মন্দির-মসজিদ নিয়েই রাজনীতি করেন। তাহলে আপনার ও বিজেপির মধ্য়ে কী পার্থক্য রইল? বিজেপিও মন্দির বানানোর রাজনীতি করছে, আপনিও মসজিদ বানানোর রাজনীতি করছেন। তাহলে আর পার্থক্য কী রইল? ২০১৯ সালে আপনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আপনার বাবরি মসজিদ ভাঙার বিষয়টি মনে ছিল না?"

পাশাপাশি হুমায়ুন কবীরের নতুন দল নিয়ে অভিষেক বলেন, যে কেউ চাইলে নতুন দল তৈরি করতে পারেন। সেই স্বাধীনতা সকলের রয়েছে। কেউ যদি মনে করেন, তিনি নেতা হলেন...তবে জনতার থেকে সমর্থন নিয়ে আসতে হবে। মানুষ মোটেই বোকা নয়। মানুষকে বোকা বানানো মোটেই সহজ নয়। 

অন্যদিকে, এদিন অভিষেক জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বর তিনি দিল্লি যাবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ও অভিযোগ তুলে সরাসরি কমিশনের কাছে তথ্য চাইবেন বলে জানান তিনি।

অভিষেকের অভিযোগ, খুব অল্প সময়ের মধ্যে জোর করে SIR প্রক্রিয়া করা হয়েছে। তাঁর দাবি, ২-৩ মাসের মধ্যেই এই সংশোধন প্রক্রিয়া শেষ করার চাপ তৈরি করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ২০২১ এর হারের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গকে বিশেষভাবে টার্গেট করছে বিজেপি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

Advertisement

 
Read more!
Advertisement
Advertisement