Advertisement

Abhishek Banerjee: 'কিছু মানুষের আদিখ্যেতায় স্টেডিয়ামে অঘটন', যুবভারতী নিয়ে আর কী বললেন অভিষেক?

যুবভারতীর ঘটনার রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরোধিতাও করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'যাঁরা এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁরা বাংলাকেই ছোট করছেন। ফুটবলের মক্কা-মদিনা যদি কোথাও হয়, সেটা বাংলা। দর্শকরা যে আশা আর উত্তেজনা নিয়ে এসেছিলেন, কিছু মানুষের অতিরিক্ত উৎসাহ ও আদিখ্যেতায় সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। যাঁরা দর্শকদের নিরাশ করেছেন, তাঁদের জবাবদিহি করতেই হবে।'

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।-ফাইল ছবিঅভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 17 Dec 2025,
  • अपडेटेड 7:17 PM IST
  • যুবভারতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে বাংলার মানহানির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
  • বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'যুবভারতীতে যা ঘটেছে, সেটা আমরা কেউই চাইনি।

যুবভারতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা দেশে বাংলার মানহানির প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'যুবভারতীতে যা ঘটেছে, সেটা আমরা কেউই চাইনি। একাংশের অতিরিক্ত উৎসাহ, আদিখ্যেতা কিংবা আয়োজকদের গাফিলতি, সব মিলিয়েই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের দিক থেকেও কোথাও শিথিলতা ছিল, সেই কারণেই তদন্ত শুরু হয়েছে।'
অভিষেক জানান, ঘটনার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি এবং যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সিইও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, 'ঘটনার পরদিনই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পদত্যাগপত্র মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন। ঘটনার মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ভারতবর্ষে আর কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে দেখা যায়নি।'

বাংলার কিছু প্রভাবশালীর আচরণ নিয়ে স্পষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিষেক। তাঁর কথায়, 'এই ঘটনা আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। কয়েকজনের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে বাংলার মাথা হেঁট হয়েছে। এটা একেবারেই কাম্য ছিল না। তবে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার ও প্রশাসন কীভাবে পদক্ষেপ করছে, সেটাও দেখা জরুরি।'

তিনি আরও বলেন, “দেশের নানা রাজ্যে পদপিষ্ট হওয়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রীদের ক্ষমা চাইতে আমরা দেখিনি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, প্রশাসনের কোথাও ভুল হয়েছিল, গাফিলতি ছিল। ক্ষমাও চেয়েছেন। এখন এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে যাতে এমন কিছু আর না ঘটে, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'

যুবভারতীর ঘটনার রাজনৈতিক ব্যবহারের বিরোধিতাও করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'যাঁরা এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনীতি করছেন, তাঁরা বাংলাকেই ছোট করছেন। ফুটবলের মক্কা-মদিনা যদি কোথাও হয়, সেটা বাংলা। দর্শকরা যে আশা আর উত্তেজনা নিয়ে এসেছিলেন, কিছু মানুষের অতিরিক্ত উৎসাহ ও আদিখ্যেতায় সেই স্বপ্ন ভেঙে গেছে। যাঁরা দর্শকদের নিরাশ করেছেন, তাঁদের জবাবদিহি করতেই হবে।'

Advertisement

অভিষেক জানান, স্টেডিয়ামে যা যা হওয়ার কথা ছিল, তার অনেক কিছুই হয়নি। 'সময়ের আগেই মেসি অন্য রাজ্যে চলে গিয়েছেন। যাঁরা টাকা খরচ করে টিকিট কেটে মেসিকে দেখার আশায় এসেছিলেন, তাঁদের ক্ষোভ একেবারেই স্বাভাবিক। এই ঘটনায় রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে, তদন্ত চলছে। কিন্তু এটা নিয়ে যেন রাজনীতি না হয়, এটাই আমাদের আবেদন।'

 

Read more!
Advertisement
Advertisement