সরকার ও তৃণমূল চায় আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা সকলেই যাতে নিয়োগ পান। আইনি জটিলতায় তা থমকে রয়েছে। রবিবার বছরের প্রথম দিন পঞ্চান্নগ্রামের তিলজলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিতপুজোয় গিয়ে এ কথাই বললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে একজনের বিরুদ্ধে প্রচারে থাকার অভিযোগও তুললেন। সেই একজন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন অনেকে। যদিও সরাসরি কারও নাম নেননি অভিষেক।
এ দিন অভিষেক বলেন,'এক দফায় আমি বৈঠক করেছি তাঁদের সঙ্গে। তবে আইনি জটিলতার কারণে কিছু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই এসএসসি চেয়ারম্যান থেকে শিক্ষামন্ত্রী যা বলার বলেছেন। দলের তরফ থেকে আমার সামর্থ্য, ক্ষমতা অনুযায়ী যেখানে যা করার আমি করেছি। রাজ্য সরকার ও দলের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আমরা চাই যাঁরা যোগ্য তাঁদের সকলের চাকরি হোক। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে হচ্ছে না।'
এর পরই তিনি যোগ করেন,কেউ কেউ মিডিয়ার আলোয় আলোকিত হচ্ছেন। সেই আলোর বন্ধনের বাইরে বেরোতে পারছেন না। রোজ যাতে খবর হয়, খবরের কাগজে খবর ছাপে, ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় একটা-দুটো বিবৃতিকে কেন্দ্র করে দিনের পর দিন সান্ধ্য আলোচনা হয়-সেটাই চাইছেন। এই যদি কারও লক্ষ্য হয়ে ছাকে তাহলে চাকরিপ্রার্থীদের বলব এ বছর সংকল্প নিতে হবে আপনারা সত্যের পাশে থাকুন। সরকার চায়, আপনাদের চাকরি হোক। আমাদের মা মাটি মানুষের সরকার আসার পর ইতিবাচক পদক্ষেপ করেছি।'
ঠিক কাকে নিশানা করলেন অভিষেক? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়,'আমি নাম বলব না আপনারা সকলে জানেন! সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দেওয়া থেকে শুরু করে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশকে বিভ্রান্ত করে নিজেকে সংবাদমাধ্যমের আলোয় আলোকিত করছেন। লার্জার দ্যান লাইফ ইমেজ তৈরির লক্ষ্য হয়ে থাকলে। সুবিচার মিলবে না। নির্ভয়ে, নির্দ্বিধায় বিচারব্যবস্থা যেন যাঁরা রাস্তায় বসে আছেন তাঁদের সুবিচার দেয়। আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠে তাঁরা যেন চাকরি পান তা যেন বিচারব্যবস্থা সুনিশ্চিত করুক।'