বিশ্বের নানা প্রান্তে পাকিস্তানের পর্দাফাঁস করতে ভারতের যে সর্বদলীয় টিম তৈরি হয়েছে, তাতে এবার যুক্ত হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল কেন্দ্র। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই সফরে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। এরপর সংসদীয় এই টিমে রাখা হয় বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানকে। কিন্তু তাঁর নামও প্রত্যাহার করে দেয় বাংলার শাসকদল।
জানা গিয়েছে, এই ডেলিগেশন টিমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুক্ত করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনিই মনোনীত করেন ডায়মন্ড হারবার সাংসদের নাম। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলের পক্ষ থেকেই তাঁকে এই ডেলিগেশন টিমের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি পোস্ট করে জানানো হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বোচ্চ নেত্রী হিসেবে কেন্দ্রের এই ডেলিগেশন টিমের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নির্বাচন করেছেন। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'অভিষেকই দলের প্রতিনিধিত্ব করবেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন একজোট হয়েছে, তখন এই ডেলিগেশন টিমে অভিষেকের অন্তর্ভূক্তি টিমে আরও দৃঢ়তা আনবে। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলার অবস্থান আরও স্পষ্ট হবে। ভারতের ঐক্যবদ্ধ স্বর হয়ে উঠবেন গ্লোবাল স্টেজে।'
‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিতে কূটনৈতিক পন্থা নিয়েছে মোদী সরকার। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদ এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নিয়ে একটি প্রতিনিধি দল গড়া হয়েছে। ওই দল বিশ্বের নানা দেশে গিয়ে পাক সন্ত্রাসের আসল চেহারাটা তুলে ধরবে। এ প্রসঙ্গে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বলেন, ‘আমরা আগেও স্পষ্ট করেছি, আজও বলছি, কেন্দ্র সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এবং জাতীয় সুরক্ষা রক্ষার জন্য যা যা পদক্ষেপ করবে, তৃণমূল কংগ্রেস তার পাশে দাঁড়াবে। কোনও প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। পাকিস্তান যে ভাবে ভারতের শান্তি, সুরক্ষা বিঘ্নিত করছে, তা নিন্দনীয়। বিশ্বদরবারে তা তুলে ধরা উচিত। কিন্তু আমাদের দল থেকে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন, সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভাবে দলের।’ ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে কখনও রাজনৈতিক রং লাগায়নি তৃণমূল, ফের দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেক বলেন, ‘যেখানে দেশের স্বার্থের বিষয় আসে, সেখানে রাজনীতির কোনও জায়গাই নেই। আমাদের দলনেত্রী বারবার এই বার্তা দিয়েছেন।’ কী ভাবে দলকে অন্ধকারে রেখে এ ভাবে প্রতিনিধি বাছাই হলো, তা নিয়ে সোমবার জোরালো সওয়াল করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।