Advertisement

Joy Prakash Majumdar: লাথি খাওয়ার ছবি হয়েছিল ভাইরাল, জয়প্রকাশ তৃণমূলে যেতে কী বলছেন করিমপুরের TMC কর্মীরা

Joy Prakash Majumdar: ২০১৯ এর করিমপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের চিত্র। সেই সময়ে বিজেপি প্রার্থী একটি বুথের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়ান। অভিযোগ, সেই সময়ে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে কচুবনে ফেলে দেওয়া হয়।

বাঁদিকে সেই ভাইরাল ছবি (সৌজন্যে হাওড়া যুব কংগ্রেস ফেসবুক পেজ)বাঁদিকে সেই ভাইরাল ছবি (সৌজন্যে হাওড়া যুব কংগ্রেস ফেসবুক পেজ)
শুভম মুখোপাধ্যায়
  • কলকাতা ,
  • 09 Mar 2022,
  • अपडेटेड 2:12 PM IST
  • লাথি খাওয়ার ছবি হয়েছিল ভাইরাল
  • জয়প্রকাশ তৃণমূলে যেতে কী বলছেন করিমপুরের TMC কর্মীরা
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

Joy Prakash Majumdar: লাথি মেরে সোজা কচুবনে। ২০১৯ এর করিমপুর বিধানসভা উপ নির্বাচনের চিত্র। সেই সময়ে বিজেপি প্রার্থী একটি বুথের সামনে কয়েকজনের সঙ্গে বচসায় জড়ান। অভিযোগ, সেই সময়ে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে কচুবনে ফেলে দেওয়া হয়। সেই ছবি ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা এই কাণ্ড করেছিলেন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল। তারপরে বঙ্গ রাজনীতিতে অনেক কিছুই বদল ঘটেছে। একদা বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর সেই শুনেই বেজায় হতবাক সেই করিমপুরের তৃণমূল কর্মীরা। যেখানে আড়াই বছর আগেই বিজেপি নেতাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল।

তৃণমূলে জয়প্রকাশ

কী জানাচ্ছেন সেখানকার তৃণমূল নেতা

এ বিষয়ে করিমপুর ব্লক সভাপতি এবং তৃণমূলের জেলাপরিষদের সদস্য তরুণ সাহা  জানান, "উনি তৃণমূলে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে বিশ্বাস করে। যেহেতু নেত্রী ওনাকে দলে নিয়েছেন আমরা তাঁকে স্বাগত জানাচ্ছি। উনি এসে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। ২০১৯ সালে সেই নির্বাচনের সময়ে সেখানকার সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল। এটা অতীত ঘটনা। রাজনীতিতে সমস্ত কিছু ধরে রাখলে চলে না। উনি বুঝতে পেরেছেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একমাত্র ভারতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণতন্ত্র রক্ষার জন্য লড়াই করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের ১৩৫ কোটি মানুষের কথা চিন্তা করছেন, সেই কথা ভেবেই জয়প্রকাশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।"

আরও পড়ুন

করিমপুর ব্লক সভাপতি এবং তৃণমূলের জেলাপরিষদের সদস্য তরুণ সাহা

যদি জয়প্রকাশ তৃণমূলে যেতেই তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি পুরনো সহকর্মীরা।  ফেসবুক পোস্ট করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি ফেসবুকে লেখেন, "অতীতে কংগ্রেস, মধ্যে বিজেপি এবং বর্তমানে ডাস্টবিন। জয়প্রকাশ দার জন্য শুভকামনা থাকলো। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি ফুঁ দেওয়ার কাজ পেয়ে থাকেন, তাহলে জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিশ্চয়ই করিমপুর কচুবন কমিটির কর্মাধ্যক্ষ করা হবে।" অন্যদিকে এক পা এগিয়ে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন তথাগত রায়।

Advertisement

তাঁর দাবি, জয়প্রকাশবাবু সেদিন টাকা খেয়ে নিজেই নিজের হেনস্থা করেছিলেন। ফেসবুক পোস্টে তথাগতবাবু লেখেন, "জয়প্রকাশ মজুমদার তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির এই দৈন্যদশার মধ্যেও একটা কীটাণু খসে যাওয়ায় একটু শক্তি বাড়ল। কিন্তু কি এক পদার্থ জোগাড় করে তাঁকে সহ-সভাপতি বানিয়েছিল KDSA গ্যাং! ওর ছেলে প্রশান্ত কিশোরের কাছে চাকরি করত। আর বাপ সহ-সভাপতি থেকে খবর সাপ্লাই করত। KDSA গ্যাং-এর অবশ্য এসব নিয়ে ভাববার সময় ছিল না। তারা কামিনী-কাঞ্চন নিয়েই মশগুল। শোনা যায় জয়প্রকাশ নাকি লাথি খাবার জন্য বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল। শ্রাবন্তী, সব্যসাচী দত্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রাজীব, তারপর এই! যাই হোক, বিদায় তো হয়েছে !আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে!"

Read more!
Advertisement
Advertisement