Advertisement

Kunal Ghosh: 'আরজি কর-কাণ্ডেও এতদিনে ফাঁসি হয়ে যেত', জয়নগর-নজির দেখিয়ে কুণাল-তত্ত্ব

জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বারুইপুর আদালত। আর তারপরেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, আরজি কাণ্ডের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটতে পারত।

'আরজি কর কাণ্ডেও এতদিনে ফাঁসি হয়ে যেত', জয়নগর কাণ্ডে সাজার পরেই বললেন কুণাল'আরজি কর কাণ্ডেও এতদিনে ফাঁসি হয়ে যেত', জয়নগর কাণ্ডে সাজার পরেই বললেন কুণাল
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 06 Dec 2024,
  • अपडेटेड 6:51 PM IST
  • জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের বহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল
  • শুক্রবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়

জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বারুইপুর আদালত। আর তারপরেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, আরজি কাণ্ডের ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটতে পারত। এতদিনে দোষীকে সাজা শুনিয়ে দেওয়া হত। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেছেন কুণাল। তিলোত্তমার বাবা-মাকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন,'আপনারা অন্য লোকের কথায় বিভ্রান্ত না হলে মেয়ের ধর্ষণ ও খুনে দোষীর ফাঁসির সাজা এতদিনে দেখতে পেতেন।'

জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের বহস্পতিবার মূল অভিযুক্ত মুস্তাকিন দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। শুক্রবার ফাঁসির রায় ঘোষণা করলেন বারুইপুরের ফাস্ট অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজেস কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। আরজি করের আবহে জয়পুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যে নারী নিরাপত্তা। দ্রুত তদন্ত করে শাস্তির আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিট গঠন করে সরকার। ২৬ দিন পর ৩০ অক্টোবর চার্জশিট পেশ করে তারা। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সাজা ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,'জয়নগরে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আজ সাজা শুনিয়েছে পকসো আদালত। ৬২ দিনের মধ্যেই বিচার হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এত তাড়াতাড়ি বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য। মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় প্রশাসন কোনওরকম আপোস করে না।'

এনিয়ে কুণাল বলেন, 'কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দৃষ্টান্ত তৈরি হল। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন যাতে ২ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া ও ট্রায়াল শেষ হয়, তার জন্য ব্যবস্থা হোক। তাহলে দেখা গেল ৬১ দিনের মাথায় সব শেষ হয়েছে। রাজ্য পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট দিয়েছে, ট্রায়াল হয়েছে, বিচারের প্রতিটি প্রক্রিয়া এগিয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই ফাঁসির সাজা এসেছে। আরজি কর মামলার ক্ষেত্রেও একদিনের মধ্যে অভিযুক্তকে ধরেছিল রাজ্য পুলিশ। তারপর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। তারা আজও বিচার প্রক্রিয়াই শেষ করে উঠতে পারল না। আজকে যদি কলকাতা পুলিশের হাতে মামলা থাকত তাহলে হয়তো আরজি করের ঘটনায় ফাঁসির সাজা হয়ে যেত। আরজি করের ঘটনার পরে কুলতলির ঘটনা ঘটেছে। যারা অতিনাটক করেছেন, তাঁরাই আসলে তদন্তের ক্ষতি করেছেন।' 

Advertisement

আরও পড়ুন

Read more!
Advertisement
Advertisement