
দুপুরে ৪ কিমি হাঁটা। তারপর বক্তৃতা। সেই বক্তৃতা শেষে পৌঁছে গেলেন কলকাতার তরুণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একটি আলাপচারিতা সারতে। আর সেখানেই ১, ২, ৩, ৪... ১০ নয়। ৩০ এর বেশি পুশআপ দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর এই কীর্তিতে তখন গোটা হলে হাততালির জোয়ার।
এই ঘটনাই আরও একবার প্রমাণ করে দিল কতটা ফিটনেস সচেতন হয়ে উঠেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নইলে কী এতগুলি পুশআপ একসঙ্গে দেওয়া চারটিখানি কথা!
আসলে মঙ্গলবার SIR বিরোধী মিছিল ছিল তৃণমূলের। মিছিলটি শুরু হয় ধর্মতলায়। শেষ হয় জোড়াসাঁকোতে। আর সেই মিছিলে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দেখা যায় অভিষেককে। এই মিছিল শেষে আবার তিনি বক্তব্যও রাখেন কর্মীদের উদ্দেশে। এমনকী দিল্লি যাওয়ার বার্তাও দেন।
তারপর সেখান থেকে পৌঁছে যান শহরের উঠতি উদ্যোগপতিদের একটি সভায়। সেই সভাতেই তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে পুশআপ চ্যালেঞ্জে অংশ নেন। এক্ষেত্রে সবাই যখন ১০, ২০ তেই হার মানছেন, তখনও নিজের লক্ষ্যে অবিচল অভিষেক। তিনি ৩০-এর বেশি পুশআপ দিয়ে থামেন। আর তাঁর এহেন কীর্তি দেখেই হল হাততালিতে ফেটে পড়ে।
আর এই দৃশ্য দেখে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বর্তমানে বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন ট্রেন্ড সেট করছেন অভিষেক। যেখানে রাজনীতির মারপ্যাঁচের মাঝেই নিজের শরীরকেও রাখতে হবে ফিট। তাহলেই যুদ্ধে এগিয়ে থাকা যাবে। আর এটা আদতে খুবই ভাল একটা ট্রেন্ড। অভিষেকের মতো লিডারদের দেখে যদি অন্যরাও নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেন, তাহলে আদতে সমাজেরই লাভ। রোগভোগ থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যাবে।
১০ বছর আগও অন্যরকম ছিলেন অভিষেক
ফ্ল্যাশব্যাকে যদি ১০ বছর আগে ফিরে যাওয়া যায়, তাহলে একবারেই এখনকার মতো ছিলেন না অভিষেক। বরং তখন তাঁর শরীরে ছিল মেদ। ওজন ছিল অনেকটাই বেশি। তবে নিজের ওই হাল নিশ্চয়ই মেনে নিতে পারেননি তিনি। তাই কয়েক বছর আগেই কমিয়ে ফেলেছেন ওজন। নিয়মিত করেন জিম। জিমে গিয়ে ছবিও দেন। অর্থাৎ ফিটনেস যে তাঁর জীবনের অন্যতম অংশ, সেটা বারবার প্রমাণ করেন তিনি।
আর এই বিষয়ে কম যান না তাঁর পিসি, তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনিও নিয়মিত হাঁটেন। যার ফলে আজও তিনি ফিট। আর সেই ট্রেন্ডই নিজের মতো করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক।