AIMIM May Contest in KMC and Howrah Municipal Elections: কলকাতা (Kolkata Municipal Elections) এবং হাওড়া (Howrah Municipal Elections) পুরসভা ভোটে প্রার্থী দিতে চলেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)-র অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen) বা মিম (AIMIM)। দিন কয়েকের মধ্যে তারা সে ব্যাপারে ঘোষণা করবে। ভোটে লড়ার ব্য়াপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে তারা। তারা একাই লড়বে, না অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোট করার পক্ষে, সে ব্য়াপারেও খোলসা করতে পারে।
বুধবার ঘোষণার সম্ভাবনা
মিম (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen) সূত্রে খবর, চলতি মাসের ১৭ তারিখে সে ব্যাপারে তারা ঘোষণা করতে চলেছে। কতগুলি আসনের প্রার্থী দেওয়া হবে, এই দুই পুরসভার বাইরে আর কোথায় কোথায় প্রার্থী দেবে সে ব্যাপারে জানানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বিধানসভায় দাগ কাটতে পারেনি
বিধানসভা ভোটে প্রার্থী রাজ্যে প্রার্থী দিয়েছিল মিম (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen)। তবে ফলাফল খুব একটা সুবিধাজনক হয়নি। মিমের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য তারা প্রার্থী দিলে সুবিধা হবে বিজেপির। অনেকে দল অভিযোগ করে, তারা বিজেপির বি টিম।
বাংলার বিধানসভার কোমর বেঁধেই নেমেছিল
বাংলায় একুশের ভোটে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছিল তারা (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen)। এর মধ্যে যেমন ছিল পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা, তেমনই দলের বিভিন্ন নেতারা জেলা সফর করেছিলেন।
জেলাকে রাজ্যকে ভাগ করা হয়েছিল পাঁচটি জোনে। তবে দল (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen) মুখ থুবড়ে পড়েছিল। মিম এখানে প্রার্থী দিলে আশা করা হচ্ছে দলের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি প্রচারে আসবেন।
কোন কোন জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল
মিম (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen)-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য জাফর হোসেন মিরাজ এবং মৃজা রিয়াজ উল হাসান ইফেন্ডিকে পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছিল। জাফর তেলেঙ্গানার নামপল্লি এবং মৃজা সে রাজ্যের বিধান পরিষদ সদস্য।
তাদের দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রাখা হয়েছিল হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে।
দল মুর্শিদাবাদ, বীরভূম এবং নদিয়ার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে এক বিধায়ক এবং এক যুব নেতাকে। তাঁরা হলেন বিহারের আমৌরের বিধায়ক আখতার উল ইমান এবং বিহারের মিম-এর যুব সভাপতি আদিল হাসান।
এর পাশাপাশি উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে জন্য পর্যবেক্ষক পদ পেয়েছিলেন বিহারের ২ বিধায়ক। তাঁরা হলেন শাহনওয়াজ এবং হাজি মহম্মদ ইজহার আসফি। শাহনওয়াজ বিহারের জোকিহাট এবং ইজহার কোচাধামানের বিধায়ক।
অন্যদিকে, মিম (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen) শুধু মালদার জন্য বিহারের ২ বিধায়ককে পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা হলেন সৈয়দ রুকুনুদ্দিন আহমেদ এবং আনজার নায়েমি।
আব্বাসের সঙ্গে সমীকরণ
মিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen Chief Asaduddin Owaisi) ফুরফুরা শরিফে এসেছিলেন। এবং পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। তিনি (All India Majlis-E-Ittehadul Muslimeen Chief Asaduddin Owaisi) পরে জানিয়েছিলেন আব্বাস সিদ্দিকির নেতৃত্বে কাজ করবে এবং রাজ্যে ভোটে লড়বেন। তিনি ফুরফুরা শরিফের প্রার্থনা করেন। পরে সেখানে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেন।
তবে তাঁদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কোনও সমঝোতা হয়নি। কারণ আব্বাস সিদ্দিকি তৈরি করেছিলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে এক নয়া দল। আর তারা বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেছিল। তৈরি হয়েছিল সংযুক্ত মোর্চা। তবে এই জোটও শোচনীয় ফল করেছিল একুশের বিধানসভা ভোটে।