Advertisement

ট্রেন প্রায় মিস করেছিলেন, রেলের সহযোগিতায় বিয়ে করতে কনের বাড়ি পৌঁছল বর

হাওড়া স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থার কারণে বরযাত্রীরা 12345 সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে সফল হয় এবং যথাসময়ে কনের বাড়িতে পৌঁছে যায়। এরপর বরকর্তা চন্দ্রশেখর বাগ টুইটারে রেলমন্ত্রী, রেলের আধিকারিক ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।

ট্রেন প্রায় মিস করেছিলেন, রেলের সহযোগিতায় কনের বাড়ি পৌঁছলেন বরট্রেন প্রায় মিস করেছিলেন, রেলের সহযোগিতায় কনের বাড়ি পৌঁছলেন বর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Nov 2024,
  • अपडेटेड 10:40 PM IST
  • বরকর্তা চন্দ্রশেখর বাগ টুইটারে রেলমন্ত্রী, রেলের আধিকারিক ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান
  • পুরো কাজ নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি রেলকর্মী

আমরা কখনও কখনও ট্রেন মিস করেছি। যেটা জ্যামে পড়ে হোক বা নিজেদের দেরি কারণে। তবে, হাওড়া স্টেশনে ঘটেছে এক দুর্দান্ত ঘটনা। বিয়ে করতে যাওয়ার সময় ট্রেন মিস হওয়ার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন বর। তবে, সবটাই সম্ভব হয়েছে রেল ও তার কর্মীদের তৎপরতায়। কেসটা খুলে বলা যাক এবার।

বরযাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মুম্বই-হওডা গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেসে ছিলেন বর ও বরযাত্রীরা। হাওড়া স্টেশন থেকে গুয়াহাটিগামী সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরার কথা ছিল। কিন্তু সমস্যা হাওড়া পৌঁছনোর আগেই শুরু হয়। হাওড়া থেকে ১৫ কিমি দূরে থাকাকালীন বরযাত্রীরা বুঝতে পেরেছিলেন যে হাওড়া পৌঁছেও তাঁরা সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে পারবেন না। কারণ গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা দেরি চলছিল। এছাড়াও হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স থেকে ওল্ড কমপ্লেক্সে যেতে সময় লাগবে। তার ওপরে সঙ্গে শিশু ও বয়স্করাও রয়েছে। পরিস্থিতি বেগতিক বরকর্তা চন্দ্রশেখর বাগ রেলের সাহায্য চান। তিনি সাহায্য চেয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানিয়ে পোস্ট করেন।  ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার হাওড়া এবং সিনিয়র ডিসিএম হাওড়ার কাছে সাহায্যের আবেদন করেন।

আর তার পরেই শুরু হয়ে যায় খেলা। দুই আধিকারিকই হাওড়া স্টেশনে থাকা কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে রেলের কর্মচারী এবং কর্তারা মিলে একটি বিশেষ করিডর তৈরি করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে নিউ কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ওল্ড কমপ্লেক্সের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে ৩৫ জন বরযাত্রীকে সাহায্য করেন। বয়স্ক সদস্যদের জন্য চারটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি ও হুইলচেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়। এই পুরো কাজ নিয়োজিত ছিলেন এক ডজনেরও বেশি রেলকর্মী।

আরও পড়ুন

তারপর কী হল...

হাওড়া স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থার কারণে বরযাত্রীরা 12345 সরাইঘাট এক্সপ্রেস ধরতে সফল হয় এবং যথাসময়ে কনের বাড়িতে পৌঁছে যায়। এরপর বরকর্তা চন্দ্রশেখর বাগ টুইটারে রেলমন্ত্রী, রেলের আধিকারিক ও কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান। তিনি লিখেছেন, 'এটি শুধুমাত্র একটি পরিষেবা ছিল না, বরং একটি অসীম দয়ার কাজ ছিল। এই হস্তক্ষেপ ছাড়া আমার পরিবার এবং আমি আমাদের জীবনে একটি অপূরণীয় মুহূর্ত মিস করতাম। আমি ভারতীয় রেলের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।'

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement