নতুন বছরে লোকসভা নির্বাচন। হাতে আর কয়েকটা মাস বাকি। বর্ষশেষের ঠিক আগে বাংলায় ফের আসছেন অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রের খবর, বড়দিনের পরের দিন ২৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার কলকাতায় পা রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই দিন কোনও সভা-সমাবেশ নেই তাঁর। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেই বৈঠক করার কথা।
রবিবার ব্রিগেডে 'লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ' অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আসবেন বলে কথাও দিয়েছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে তাঁর জরুরি কাজ আসায় মোদী আসছেন না। তবে অমিত শাহের আসা কার্যত পাকা বলে খবর বিজেপি সূত্রের। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচনের আগে বাংলায় ভোটের প্রচারে নিয়মিত বাংলায় আসবেন অমিত শাহ।
বিজেপি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার কলকাতায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন অমিত শাহ। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কথা হওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা ভোটের আগে দলের সংগঠন নিয়ে পরামর্শ দেবেন শাহ। সেই সঙ্গে রণনীতি নিয়েও কথা হতে পারে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বিষয়টি খোলসা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই শাহের বঙ্গসফর পাকা হয় বলে খবর।
বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে ৩৫টি জেতার টার্গেট দিয়েছেন অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই ২৯ নভেম্বর কলকাতার বুকে সভা করে গিয়েছেন। সেই মঞ্চে অবশ্য তাঁর মুখে ৩৫ আসনের কথা শোনা যায়নি। এদিকে, দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের জল্পনাও তুঙ্গে। ইন্ডিয়া জোটের রণনীতি ও প্রচারের অভিমুখ নিয়েও বিরোধীরা কথা চালাচ্ছে। উত্তর ভারতে বিজেপি শক্তিশালী। তবে দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতে তারা এখনও ততটা ডালপালা মেলতে পারেনি। গতবার বাংলায় ১৮টি আসন জিতেছিল বিজেপি। কেন্দ্রের ক্ষমতায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফিরতে হলে শুধুই উত্তর ভারতের উপর নির্ভরশীল হলে হবে না। বরং পূর্ব, উত্তর-পূর্ব (অসম, ত্রিপুরা) থেকেও যতটা সম্ভব আসন বাড়িয়ে নিতে হবে। সে কারণেই বাংলায় অমিত শাহরা নজর দিচ্ছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।