গ্রেফতার চার
গুলশন কলোনি বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে চারজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে বোমা বাঁধা ও বিস্ফোরণের অভিযোগ রয়েছে।
বোমা বাঁধা ও বিস্ফোরণ ও মজুত
বোমা বাঁধা ও তা মজুত করে রাখার অভিযোগ চারজন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। কলকাতার আনন্দপুর থানার অধীন এলাকার এই মামলায় শুক্রবার রাতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে বিস্ফোরণের এলাকা থেকে ১৬ টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ কর্তার দাবি
ডিসিপি ইস্ট গৌরব লাল জানিয়েছেন, গোটা ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের আরও কিছু সহযোগী রয়েছে। যাদের পুলিশ খোঁজা শুরু করেছে।
উদ্দেশ্য কি, এখনও জানে না পুলিশ
তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। জখম হওয়ারও কোনও খবর নেই। তবে সঙ্গে বোমা-গুলি কি উদ্দেশ্যে বাঁধা হচ্ছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। নিজেরাই কাউকে আক্রমণ, কিংবা ভয়দেখানোর জন্য় ব্যবহার করছিল, নাকি এগুলি কাউকে সরবরাহ করার বরাত নিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অসাবধানতাতেই বিস্ফোরণ
তবে কাউকে মারার উদ্দেশ্যে নয়, নিছক এই নিজেদের ক্ষণিকের উত্তেজনা এবং মদের ঘোরেই তারা বোমা ফাটিয়ে ছিল বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। তবে পুলিশকে ধৃতরা জানিয়েছে, তারা বোমার মান পরীক্ষা করতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ফাটিয়ে ফেলেছে।
ধৃতদের ঠিকানা
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের পাণ্ডা শেখ সমীর। তার বাড়ির দাঁতন এলাকায় উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম এর মার্টিনপাড়াতে। বোমা বাঁধা ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ তার সহযোগী সাদ্দাম হোসেন ওরফে নেপালি সাদ্দাম, মহম্মদ ফইজ এবং শেখ বিক্রম ওরফে ফকরে আলমকে গ্রেপ্তার করে। নেপালি সাদ্দামের বাড়ি পশ্চিম চৌভাগাতে। অন্যদিকে বিক্রমের বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মল্লিকপুর এলাকায় হাবিবচক-মন্দির পাড়ায়। অপরজন দাঁতনেরই মার্টিনপাড়ার বাসিন্দা।
ঘটনাটি কি হয়েছিল
পুলিশ জানিয়েছে ৩০ জুন মাঝরাতে, গুলশান কলোনির একটি নির্মীয়মান বাড়িতে শেখ সমীর এর নেতৃত্বে মদ খেয়ে মত্ত ছিল কয়েকজন। মদের নেশায় তারা দুটি বোমা ফাটিয়ে দেয়। বাড়ির দ্বিতীয় তল থেকে আওয়াজ পেয়ে এলাকাবাসীই পুলিশকে জানায়। পরে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড গিয়ে সেখান থেকে ১৬ টি তাজা দেশি বোমা উদ্ধার করে।