Advertisement

App cab fare hike: অ্যাপ ক্যাব ও বাইকের ভাড়া বাড়ছে পুজোর মুখেই? একধাক্কায় অনেকটা হতে পারে

দুর্গাপুজোর আর মাত্র দু'সপ্তাহ বাকি। এই সময় যখন গোটা শহর উৎসবের আমেজে ডুবতে তৈরি, তখনই বাড়ল অ্যাপ ক্যাব চালকদের ক্ষোভ। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান ভাড়া কাঠামোয় রাস্তায় নামা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই রাজ্য সরকার ও অ্যাগ্রিগেটর কোম্পানিগুলির কাছে ভাড়া পুনর্গঠনের জোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 12 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:53 AM IST
  • দুর্গাপুজোর আর মাত্র দু'সপ্তাহ বাকি।
  • এই সময় যখন গোটা শহর উৎসবের আমেজে ডুবতে তৈরি, তখনই বাড়ল অ্যাপ ক্যাব চালকদের ক্ষোভ।

দুর্গাপুজোর আর মাত্র দু'সপ্তাহ বাকি। এই সময় যখন গোটা শহর উৎসবের আমেজে ডুবতে তৈরি, তখনই বাড়ল অ্যাপ ক্যাব চালকদের ক্ষোভ। তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান ভাড়া কাঠামোয় রাস্তায় নামা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই রাজ্য সরকার ও অ্যাগ্রিগেটর কোম্পানিগুলির কাছে ভাড়া পুনর্গঠনের জোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

সল্টলেকে উবারের অফিসে জমা দেওয়া এক দাবিপত্রে চালকরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ক্যাবের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ন্যূনতম ৩০ টাকা, নন-এসি ক্যাবের জন্য ২৫ টাকা এবং বাইক-ট্যাক্সির জন্য ন্যূনতম ১২ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি, বাতিলকরণ ও অপেক্ষার চার্জ অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি তোলা হয়েছে।

চালক ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিদিন চালকদের  নির্দিষ্ট টাকা দিতে হয়। চার আসনের ক্যাবের জন্য ৯৯ টাকা এবং সাত আসনের ক্যাবের জন্য ২১৬ টাকা। এর ফলে আয় কমে যাচ্ছে। আগে কমিশন দেওয়া হতো, এখন সেটাও বন্ধ।

চালকদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ শতাংশ ক্যাব রাস্তায় নামছে না। জ্বালানি খরচ, ঋণ শোধ ও নম্বর প্লেট পরিবর্তনের জটিলতা তাঁদের সমস্যাকে আরও বাড়াচ্ছে। এছাড়া টোটো ও অন্যান্য বিকল্প পরিবহণ চালুর কারণে যাত্রীর সংখ্যাও কমেছে।

চালকদের একাংশ রাজ্য সরকারের যাত্রী সাথী পরিষেবায় যোগ দেওয়াকে ইতিবাচক মনে করছেন, তবে দাবি করেছেন, যান্ত্রিক রিকশাকে অ্যাগ্রিগেটর পরিষেবা থেকে বাদ দিতে হবে এবং পুল সিস্টেম পুনর্বহাল করতে হবে।

অ্যাপ ক্যাব চালকদের হুঁশিয়ারি, যদি দাবি পূরণ না হয় তবে উৎসবের মরশুমেই বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে, আর সে ক্ষেত্রে কলকাতার রাস্তায় অ্যাপ ক্যাব প্রায় অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে।

উল্লেখ্য, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩,০০০-এরও বেশি পুজো মণ্ডপ এবং ৪,৫০০ কোটির বাজার ঘিরে যে উৎসবের ব্যস্ততা তৈরি হচ্ছে, সেখানে এই সমস্যা সমাধান না হলে যাত্রী ও পরিবহণ ব্যবস্থার উপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement