পুলিশি হয়রানি বন্ধ, কর ছাড়-সহ একগুচ্ছ দাবিতে পরিবহণ দপ্তর অভিযানের ডাক দিয়েছিল অ্যাপ ক্যাব চালকদের সংগঠন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় তারা এই কর্মসূচি পালন করে। সংগঠনের দাবি, আন্দোলনের চাপে প্রশাসন তাদের অনেকগুলি দাবি মানতে বাধ্য হয়েছে।
এদিন পরিবহণ দপ্তর অভিযানের ডাক দিয়েছিল কলকাতা ওলা উবর অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়ন। সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারের সামনে তারা জমায়েত হন। সেখান থেকে মিছিল করে পরিবহণ ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। সংগঠনের অভিযোগ, পুলিশ বাধা দিয়েছে। পরে তাদের এক প্রতিনিধিদল পরিবহণ দপ্তরের সচিবের সঙ্গে দেখা করে।
তাদের দাবি ছিল, লকডাউনের সময় রোড ট্যাক্সে ছাড় দিতে হবে। সি এফ- এর জরিমানা নেওয়া যাবে না। ইএমআইযের জন্য আরও সময় দিতে হবে। ওলা, উবর কোম্পানির কমিশন কমাতে হবে ও ভাড়ার পুনর্বিন্যাস করতে হবে। চালতদের কোভিড বিমার ব্যাবস্থা করতে হবে। পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা ওলা উবর অ্যাপ ক্যাব অপারেটর অ্যান্ড ড্রাইভার্স ইউনিয়ন সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, সম্পাদক মহম্মদ মনু, ইউনিয়নের নেতা মানস চৌধুরী, মহম্মদ আজম, নিখিল মাইতি প্রমুখ।
পরিবহণ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইন্দ্রজিৎ ঘোষ দাবি করেছেন, সি এফ-এর লেট হলে যে জরিমানা হচ্ছে, সেটা মকুব করা সম্ভব। সরকার এ ব্যাাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। আমাদের দাবি ছিল, লকডাউনের সময় রোড ট্যাক্স ছাড় দিতে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, পুরো ছাড় দেওয়া যাবে না। তবে মন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে কিছুটা কম করা হবে। তবে আমরা বলেছি পুরোটা ছাড় দিতে হবে। ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত ইএমআই দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সময দেওয়ার জন্য সরকার আবার ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে। পাশাপাশি সুদে ছাড়ের জন্যও বলবে। তিনি জানান, ওলা, উবে কোম্পানিগুলির কমিশন কমানো ও ৬ টাকা বুকিং চার্জ যা তারা যাত্রীদের থেকে নিচ্ছে, সে ব্যাপারে নভেম্বর মাসে ত্রিপাক্ষিক সভার আয়োজন করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, দাবি মানা না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।