শীত শেষ। মার্চের মাঝামাঝিই বেশ গরম পড়ে যেতে পারে। তারপর থেকে টানা চলবে গরম। সকাল ১০টা হতে না-হতেই দাবদাহ শুরু হবে তখন। যাত্রীরা যখন অনলাইন ক্যাব বুক করেন, তখন যাত্রার সময়, যাত্রাপথের দূরত্ব, সম্ভাব্য যানজটের জন্য অপেক্ষা এবং অবশ্যই এসি চালানোর খরচ - সব ধরেই ভাড়ার হিসেব করে সার্ভিস প্রোভাইডার। এর পরেও চালকদের বড় অংশ এসি চালাচ্ছেন না, এই অভিযোগ উঠছিল গতবছর। চালকদের অভিযোগ ছিল, সার্ভিস প্রোভাইডার যে পরিমাণ কমিশন কাটে, তাতে এসি চালালে তাঁদের লোকসান। ফলে এসি-র ভাড়া দিয়েও বঞ্চিত হন যাত্রীরা। এসব বিষয় নিয়েই আজ, মঙ্গলবার বৈঠক হবে ওলা-উবরের সঙ্গে।
জানা গেছে, ভাড়া বাড়ানো সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে ময়দানে পরিবহণ দফতরের তাঁবুতে। বিকেল ৪টেয় বৈঠক শুরু হবে। অ্যাপ ট্যাক্সি সংগঠনগুলি তাঁদের দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরবে সেখানে।
বাস, ট্রামের মতো হলুদ ট্যাক্সির ভাড়া রাজ্য পরিবহণ দপ্তর বাজার দরের ভিত্তিতে নির্ধারণ করে দিলেও অ্যাপ-ক্যাবের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় সরকার অ্যাপ-ক্যাব নিয়ে গাইডলাইন তৈরি করলেও বেশিরভাগ রাজ্য সরকার তা কার্যকর করেনি। তবে রাজ্য সরকার গতবছর একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে, হলুদ ট্যাক্সির ভাড়াকে সামনে রেখেই অ্যাপ-ক্যাবগুলির ভাড়া নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ আইনমাফিক নন-এসি ট্যাক্সিতে উঠলেই ভাড়া ৩০ টাকা। পরের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ১৫ টাকা। এসি ট্যাক্সি হলে এই ভাড়া ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১৮ টাকা ৭৫ পয়সা। এই হিসাব মাথায় রেখে একটি অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া নন-এসি হলে কখনও তা প্রতি কিলোমিটারে ২২ টাকা ৫০ পয়সার বেশি হবে না।
ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজকের বৈঠকে দু-পক্ষই তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানাবে।
অন্যদিকে, দিল্লি সরকার অবিলম্বে বাইক ট্যাক্সি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। একটি নোটিশে, দিল্লি পরিবহণ বিভাগ বলেছে যে নন-ট্রান্সপোর্ট (প্রাইভেট) রেজিস্ট্রেশন চিহ্ন/নম্বরযুক্ত দু-চাকার গাড়ি যাত্রীদের বহন করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দিল্লি পরিবহন দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, বাইক ট্যাক্সির উপর নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে। সরকারী বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে যদি ওলা, উবার এবং র্যাপিডো রাইডার্সের মতো পরিষেবা প্রদানকারীরা দিল্লিতে বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা প্রদান করতে থাকে, তাহলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার বা পরবর্তীতে অপরাধ করলে ১০,০০০ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।