Advertisement

বজবজে সুকান্তর ওপরে হামলা, ১৫ দিনে রিপোর্ট তলব লোকসভা সচিবালয়ের

লোকসভার স্পিকার তাঁর চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার জানান যে বজবজে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং তাঁকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসায় আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেই তিনি ওই এলাকায় ছিলেন।

বজবজে সুকান্তর ওপরে হামলা, ১৫ দিনে রিপোর্ট তলব লোকসভা সচিবালয়েরবজবজে সুকান্তর ওপরে হামলা, ১৫ দিনে রিপোর্ট তলব লোকসভা সচিবালয়ের
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 02 Jul 2025,
  • अपडेटेड 11:45 AM IST
  • স্বাধিকারভঙ্গ ও সংসদের অবমাননার অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে মর্মে চিঠি দেন সুকান্ত
  • তাঁর অভিযোগ ছিল, বজবজে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছিল

কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ওপরে হামলার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল লোকসভার সচিবালয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে রিপোর্ট নিয়ে তা ১৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে লোকসভার সচিবালয় থেকে। ১৯ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে গিয়ে আক্রান্ত হন সুকান্ত মজুমদার। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের দেখতে গিয়ে বজবজে বাধার মুখে পড়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। পরের দিন ২০ জুন বৃহস্পতিবারের সেই ঘটনায় স্বাধিকারভঙ্গ ও সংসদের অবমাননার অভিযোগ তুলে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে মর্মে চিঠি দেন সুকান্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল, বজবজে তাঁর কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়েছিল। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সুকান্তের। এমনকি, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ জানান তিনি।

লোকসভার স্পিকার তাঁর চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার জানান যে বজবজে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং তাঁকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক হিংসায় আহত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতেই তিনি ওই এলাকায় ছিলেন। সুকান্ত অভিযোগ করেন, তাঁর কনভয় ঘেরাও করে বিক্ষোভকারীদের একটি দল। যাদের মধ্যে কেউ কেউ পাথর, চপ্পল ছোড়ে। এছাড়াও গালিগালাজ করা হয়েছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সঙ্গে থাকা অনেকে জখম হন।

এই আক্রমণকে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করে সুকান্ত লেখেন, 'আমি লোকসভার কার্য পরিচালনা বিধির বিধি ২২২ এর অধীনে এই নোটিশটি জমা দিচ্ছি, যা একজন সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মর্যাদা, নিরাপত্তা এবং চলাচলের স্বাধীনতার উপর গুরুতর আক্রমণ এবং অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে।'

আরও পড়ুন

পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পুলিশিও নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি চিটিতে লেখেন, 'আরও উদ্বেগজনক বিষয় হল, এই জঘন্য ঘটনার সময় পুলিশ সুপার (শ্রী রাহুল গোস্বামী) ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোনও প্রতিরোধমূলক বা প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। যা ইচ্ছাকৃত অবহেলা, কর্তব্যে অবহেলা এবং রাজনৈতিক হিংসাকে উৎসাহিত করার সামিল। আমার যাওয়ার বিষয়ে জানা সত্ত্বেও ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।' সুকান্ত দাবি করেন, তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিযুক্ত সিআইএসএফ কর্মীদের হস্তক্ষেপের পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement