এর আগে রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া শুরু হবে। তবে স্পষ্ট হয়ে গেল, দ্বিতীয় সপ্তাহ নয়, ২৩ তারিখের মধ্যে টাকা ছাড়তে হবে জেলা প্রশাসনকে। পঞ্চায়েত দফতর তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পঞ্চায়েত দফতরের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ, ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা যাবে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে। টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম গড়িমসি করা যাবে না। প্রতিটি উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে যাতে টাকা যায় সেদিকেও সতর্ক নজর রাখতে হবে জেলা প্রশাসনকে।
উপভোক্তারা টাকা তখনই পাবেন যখন তিন দফায় ছাড়পত্র মিলবে। প্রথনম দফার ছাড়পত্র দেবে গ্রামসভার আবাস নিয়ে যে কমিটি সেই তারা। দ্বিতীয় দফার ছাড়পত্র মিলবে ব্লক লেভেল কমিটির তরফ থেকে। চূড়ান্ত ছাড়পত্র মিলবে ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে। তারপরই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কারা কারা এই টাকা পাবেন সেই প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করতে ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলা আধিকারিকদের অফিস, ব্লক অফিস ও পঞ্চায়েত অফিসে টাঙাতে হবে তালিকা।
জানা গেছে, আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে তা জেলা প্রশাসনকে জানানো যাবে। কেন অভিযোগকারী টাকা পেলেন না, তা স্পষ্ট করে বলতে হবে আধিকারিকদের।
আবার এই আবাস প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ ১৪ নভেম্বর তারিখে শেষ করার কথা ছিল। সেখানে এই কাজ শেষ হয়েছে গত সোমবার ১৮ নভেম্বর। তার জেরে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই বেশ কিছুটা পিছিয়ে গিয়েছে। তাই জেলা প্রশাসনকে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও তিনদিন বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছে।
আবার যোজনার টাকা কারা পাবেন তাই নিয়েও গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছিল। যাদের তিন-চার চাকার গাড়ি, তিন-চার চাকার কৃষি যন্ত্রপাতি রয়েছে তাঁরা বাংলার আবাস যোজনার টাকা পাবেন না। মাসিক ১৫ হাজারের বেশি আয় করা পরিবার এবং আয়কর দেওয়া পরিবারগুলিও এই প্রকল্পের আওতায় আসবে না। পাশাপাশি যাদের আড়াই একর বা তার বেশি সেচযুক্ত কৃষি জমি আছে এবং ৫ একর অসেচযুক্ত কৃষিজমি রয়েছে, তাঁরাও বাড়ি তৈরির টাকা পাবেন না।