মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর কলোনীতে ভেঙে পড়া চারতলা ভবনটি মেরামত করার জন্য বাসিন্দারা একটি অনলাইন বিজ্ঞাপন দেখে নির্মাণ সংস্থাকে নিয়োগ করেছিলেন, যা ভবন ধসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাট মালিকরা হাইড্রোলিক জ্যাক ব্যবহার করে ভবনের কাঠামো ঠিক করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এই কাজের জন্য তারা হরিয়ানা-ভিত্তিক একটি কোম্পানির প্রাক্তন কর্মচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তবে, কাজ শুরুর আগে কোম্পানি এবং তাদের কর্মচারীদের পটভূমি যাচাই করার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, “ফ্ল্যাট মালিকরা কোনও ব্যাকগ্রাউন্ড চেক করেননি এবং ফোনে পাওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করেই কাজের জন্য তাদের নিয়োগ করেছিলেন।”
ধসের পর পরিস্থিতি
ভবনটি ভেঙে পড়ার পর থেকে মেরামতের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে, ভবনটির বিকাশকারী সুভাষ রায়কেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার শেষ ফোন টাওয়ার অবস্থান পশ্চিম বর্ধমানের বার্নপুর এলাকায় পাওয়া গেছে।
বাসিন্দাদের ক্ষয়ক্ষতি এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা
ভবনের মালিকরা ধসে যাওয়া কাঠামোর মধ্যে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্রের তালিকা তৈরি করেছেন। নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় নেতাজিনগর থানার পুলিশ ভবনের সামনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে।
ধসে যাওয়া ভবনের পরিবারগুলো ডিসেম্বর থেকে ভাড়া অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করছে। ভবিষ্যতে তাদের বাড়ি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে তারা গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
প্রশাসনিক পদক্ষেপ
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন এই ঘটনায় একটি এফআইআর দায়ের করেছে, যেখানে সব ফ্ল্যাট মালিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তবে মানবিক বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অসাবধানতার ফল
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাইড্রোলিক জ্যাক দিয়ে ভবনের এক কোণ উচ্চতর করার প্রচেষ্টা একটি গুরুতর ভুল ছিল, যা ভবনের ভারসাম্য নষ্ট করে।