Baguiati Murder: বাগুইআটি জোড়াখুন মামলায় সিবিআই তদন্ত চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাগুইআটি থেকেই রাজ্যের শাসকদলের উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগেন তিনি। সেই সঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলরের নাম করেও নিশানা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বুধবার সকাল থেকেই বাগুইআটি থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন বিজেপির মহিলার মোর্চার সদস্যারা।
রাজ্যের শাসকদলকে তোপ দেগে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "অপদার্থ পুলিশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের কাছে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছি। আমাদের রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী তনুজার নেতৃত্বে ধরনা মহিলারা স্লোগান দিচ্ছেন এখানে। আমি তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি কিছু কথা বলতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রীও বটে। বিরোধী দল যন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়, তখন ইস্যুটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা না বলে ফলগ্রহণ করেন না। তিনি পশ্চিমবাংলার গত বিধানসভার ভোটে জিতেছেন জিহাদির সমর্থনে এবং পুলিশের সাহায্য। এদের নিয়েই খেলা-মেলা চলছে।"
পুলিশকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বাগুইআটি পুলিশের একটাই কাজ মমতা এবং তাঁর ভাইপোর যাতে সুন্দর ভাবে যাতায়াত করতে পারেন, তার জন্য দড়ি দিয়ে রাস্তা ঘিরে থাকা। সাত খুন মাফ ভাইপোর কোম্পানির সদস্য যদি কেউ হয়ে থাকেন। ভাইপোর পিএ-কে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে দেবরাজ এই চোর ডাকাত আইসিকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। অতনুর এবং অভিষেকের পরিবারের কাছে ৩ লাখ টাকা চাওয়া হয়। মাত্র ২০ হাজার টাকা ওই গরিব মানুষ দেওয়ার পরে এফআইআর হয়। ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেছেন সিআইডি তদন্ত হবে। পানিকাণ্ডে তৃণমূল কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে আমরা সিআইডি তদন্তে গতিপ্রকৃতি দেখেছি। আইসি কল্লোল ঘোষকে বাঁচাতেই সিআইডি তদন্ত করা হচ্ছে। আমাদের দাবি এই মামলা সিবিআইকে দেওয়া হোক। পরিবারের সঙ্গে আমাদের নেতারা যোগাযোগ রাখছে। সত্য ঘটনার পরিবারের মুখ থেকে বেরিয়ে আসুক। পরিবারের উচিত সিবিআই দাবি করা। এমন অপদার্থ পুলিশ মন্ত্রী গোটা ভারতে কোথাও নেই।"