Advertisement

Sovan-Baishakhi: কন্যার পদবী আর নয় মণ্ডল, 'দুষ্টু' শোভনকে ধন্যবাদ বৈশাখীর

শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভালবাসার এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন। খাতায় কলমে বিয়েটা না হলেও, শোভনের নামের সিঁদুর বহুদিন হল মাথায় তুলেছেন বৈশাখী। চলছে সুখের সংসারও। সম্প্রতি বাড়িতে গণেশ উৎসবে মেতেছিলেন শৌভন-বৈশাখী। গোলাপি ছিল থিম। সেই থিম আবার বেছেছিল বৈশাখীর কন্যা মেহুল। আর এর মাঝেই কন্যা দিবসে মেয়ে মেহুল আর শোভনকে নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 25 Sep 2023,
  • अपडेटेड 10:41 AM IST

শোভন চট্টোপাধ্যায় আর বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ভালবাসার এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন।  খাতায় কলমে বিয়েটা না হলেও, শোভনের নামের সিঁদুর বহুদিন হল মাথায় তুলেছেন বৈশাখী। চলছে সুখের সংসারও। সম্প্রতি বাড়িতে গণেশ উৎসবে মেতেছিলেন শৌভন-বৈশাখী। গোলাপি ছিল থিম। সেই থিম আবার বেছেছিল বৈশাখীর কন্যা মেহুল। আর এর মাঝেই কন্যা দিবসে মেয়ে মেহুল আর শোভনকে নিয়ে মুখ খুললেন বৈশাখী। 

প্রসঙ্গত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় আর শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। মধ্যবয়সে এসে সংসারে সুখ না পাওয়া (শোভন-বৈশাখীর দাবি অনুসারে) দুটি মানুষ কাছাকাছি এসে ঘর বেঁধেছেন। যৌবন পেরিয়ে গেলেও, মনে তাঁরা সদা তরুণ। ইতিমধ্যেই র পুরনো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছেন বৈশাখী। প্রাক্তন স্বামী  মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে বৈশাখারী। যা নিয়ে বৈশাখী লিখেছিলেন 'অতীতের কান্না আর দীর্ঘশ্বাস এখন শুধুই স্মৃতি।' তবে বৈশাখী-মনোজিতের ডিভোর্স হয়ে গেলেও আইনি মতে এখনও ডিভোর্স হয়নি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের। চলছে বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা। আর ডিভোর্স না হওয়ায় বিয়েও হয়নি শোভন-বৈশাখীর। তাই তাদের একসঙ্গে বসবাস করাকে ‘সহবাস’ বা লিভ ইন  বলা চলে। তবে নিজেদের সম্পর্কের সঙ্গে এই সহবাস শব্দ জুড়ে যাওয়ায় বৈশাখী অবশ্য বিরক্ত নন, উল্টে তিনি জানান, ‘সহবাস’ বা ‘সহযাপন’ কথাটার মধ্যে তিনি মাধুর্য পান। 

বর্তমানে শোভনের নামের সিঁদুর দিয়ে সিঁথি রাঙান বৈশাখী। হাতে শাখা-পলা। সধবা নারীর সবরকম চিহ্ন তাঁর শরীরে বর্তমান। শোভনের গোলপার্কের বহুতলেই একসঙ্গে রয়েছেন তাঁরা বেশকিছু বছর ধরে। সঙ্গে থাকেন বৈশাখী আর মনোজিতের মেয়ে মেহুলও। একাধিকবার সংবাদমাধ্যমে মনোজিতের সঙ্গে বিয়ে ভাঙা নিয়ে কথা বলেছেন বৈশাখী । জানিয়েছেন, বিয়ের আগে থেকেই তাঁর গায়ে হাত তুলতেন প্রাক্তন স্বামী। কারও সঙ্গে কথা বললেই সন্দেহ করতেন। বিয়ের পরও প্রায় প্রতি রাতেই বরের হাতে মার খেতেন। এমনকী, মেয়ে মহুলের জন্মের পরেও অবস্থা বদলায়নি। সেই সময় ‘বন্ধু’ শোভনই সাহস দেয় মনোজিতের বাড়ি ছেড়ে, সেই অন্ধকার পরিবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসার। মাথার তলায় এই ছাদটাও দিয়েছিল শোভনই। কন্যা দিবসেও মেয়ে মেহুলকে রেলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় হিসাবে পাওয়ার জন্য শোভনকেই ধন্যবাদ জানালেন বৈশাখী।

Advertisement

 

শোভনকে একটি বিশেষ নামে ডাকেন বৈশাখী। সেই একই নাম ‘দুষ্টু’ বলে ডাকে মেহুলও। রবিবার কন্যা দিবসের পোস্টে বৈশাখী জানান মনোজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের পর মেহুল এখন কেবল তাঁর সন্তান রেলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মেহুলকে লিখতে হবে না রেলিনা বন্দ্যোপাধ্যায় মণ্ডল। ২ বছর আগে  ‘দুষ্টু’ শোভনের কাছে মেহুল আবদার করেছিল মনোজিৎ-এর সারনেম থেকে মুক্ত হওয়ার। অবশেষে সেই সার্টিফিকেট এসে গিয়েছে, যেখানে মেহুল এখন কেবল রেলিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেহুল এখন কেবল বৈশাখীর সন্তান, যার পুরো কৃতীত্বের জন্য শোভনকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন বৈশাখী। 
 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement