Advertisement

Bangladeshi in Kalighat: ভিসা ছাড়াই ২ বছর ধরে কালীঘাটে বাস বাংলাদেশি আজাদের, কীভাবে পেল প্রাইভেট গাড়ি?

ধৃতের নাম আজাদ শেখ, বয়স ৪১।  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ভারতে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতার রাস্তায় পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারেন। এরপর কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। দেখা যায় অভিযুক্ত ভুয়ো তথ্য দিয়ে নিজের পরিচয় গোপনের চেষ্টা করছেন। 

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 26 May 2025,
  • अपडेटेड 12:01 PM IST

বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা নেই। অথচ দিব্যি প্রাইভেট গাড়ি চালাচ্ছেন কলকাতার রাস্তায়। কালীঘাট এলাকা থেকে রবিবার গ্রেফতার এক বাংলাদেশি নাগরিক। ধৃতের নাম আজাদ শেখ, বয়স ৪১।  ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ভারতে ছিলেন। সম্প্রতি কলকাতার রাস্তায় পুলিশকর্মীকে ধাক্কা মারেন। এরপর কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসে। দেখা যায় অভিযুক্ত ভুয়ো তথ্য দিয়ে নিজের পরিচয় গোপনের চেষ্টা করছেন। 

প্রশ্ন উঠছে, যাঁর কাছে ভিসা বা পাসপোর্ট নেই, তিনি কীভাবে খাস কলকাতায় এতদিন ধরে লুকিয়ে থাকলেন? অবশ্য 'লুকিয়ে' বলাটা ভুল।কারণ রীতিমতো গাড়িও চালাতেন। কীভাবে তাঁর নামে প্রাইভেট গাড়ি চলছিল? কারা তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।

কলকাতা পুলিশের প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, আজাদ শেখ তাঁর প্রকৃত পরিচয় গোপন করে সরকারি কর্মীদের সামনে ভুয়ো তথ্য জমা দেন। দাবি করেন, তিনি উত্তর ২৪ পরগণার খাসসনকদাহর বাসিন্দা। তবে পরে তাঁর প্রকৃত ঠিকানা জানা যায়। আদতে সে বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারির বাসিন্দা।

এই ঘটনায় কালীঘাট থানায় Foreigners Act-এর ১৪A(b) ধারা এবং Bharatiya Nyaya Sanhita (BNS)-এর ২১২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।  

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে!

১৮ মে, সকাল ৬টা ২৫ মিনিট নাগাদ আজাদ একটি প্রাইভেট কার চালাচ্ছিলেন। কালী মন্দির রোড ধরে চালানোর সময় সদানন্দ রোডের মোড়ে নেতাজিনগর থানার এএসআই সুসেন দাসকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারেন। গুরুতর আহত হন ওই পুলিশ অফিসার। পরে তাঁকে SSKM হাসপাতাল ও সেখান থেকে কোঠারি মেডিক্যাল সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়।

এই ঘটনার পরই পুলিশ নিয়মমাফিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। সেই সময়েই তাঁর পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশ আধিকারিকদের। তদন্তে বেরিয়ে আসে, আজাদ শেখ আদতে বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর কোনও বৈধ নথি নেই।  

প্রশ্ন উঠছে...

কীভাবে ওই ব্যক্তি ভারতে এসে আস্তানা বানালেন? তার থেকেও বড় প্রশ্ন, এই ভুয়ো পরিচয়ে প্রাইভেট গাড়িই বা পেলেন কীভাবে? ওই গাড়ির নথিপত্র কার নামে? সেই গাড়ির নথিপত্রে কি আজাদের নাম আছে, নাকি অন্য কারও সহযোগিতায় সেই গাড়ি তাঁর হাতে এসেছিল?

Advertisement

আজাদ কীভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে এলেন, কারা তাঁকে এখানে আশ্রয় দিল, এবং তাঁর দীর্ঘদিনের ভারতবাসের পেছনে কোনও সংগঠিত চক্র কাজ করেছে কি না, তা খুঁজে বের করাই এখন টার্গেট পুলিশের।

কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে রাজ্যে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করা হয়েছে, কোনও ধরনের সন্দেহজনক অনুপ্রবেশের খবর থাকলে তা পুলিশের কাছে জানাতে। 

Read more!
Advertisement
Advertisement