বুধবার দুপুরে বেলঘরিয়ার প্রফুল্ল নগরে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। রাস্তায় এক কিশোরীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। অভিযুক্ত কিশোরকে স্থানীয়রা পাকড়াও করে বেধড়ক মারধর করে, যার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আহত কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তার অপারেশন চলছে।
ঘটনার বিবরণ:
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন দুপুরে ওই কিশোর ও কিশোরীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। ঝগড়ার এক পর্যায়ে কিশোরী আচমকা কিশোরের গালে চড় মারে, যা দেখে রেগে গিয়ে কিশোর ধারাল অস্ত্র বের করে কিশোরীর ওপর হামলা চালায়। কিশোরী পালানোর চেষ্টা করলেও, কিশোর একের পর এক কোপ মারতে থাকে।
এই নৃশংস হামলার দৃশ্য দেখে পথচারীরা হতবাক হয়ে পড়েন। কিশোর যখন পালানোর চেষ্টা করে, তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর শুরু করে। এতে কিশোরও গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার পেছনের কারণ:
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত কিশোর কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, যা কিশোরী প্রত্যাখ্যান করে। এর জেরে কিশোর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন, কিশোরী যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, তখনই কিশোর তার ওপর হামলা চালায়। কিশোরীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পরপর পাঁচটি কোপ মারে, যার ফলে কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
অবরোধ ও পুলিশের বিপাকে পড়া:
এই ঘটনার পর, ক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত কিশোরকে মারধর করে এবং বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস ওয়ে অবরোধ করে। তাদের অভিযোগ, রাস্তায় মেয়েদের নিরাপত্তার অভাব কেন থাকবে, এবং এ ধরণের ঘটনা কেন ঘটতে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে পুলিশও বিপাকে পড়ে। জনতার রোষ ও উত্তেজনা সামলাতে পুলিশের পক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। অবশেষে, পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়, তবে ঘটনাটি এলাকায় উত্তেজনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
এখন সকলের নজর হাসপাতালের দিকে, যেখানে কিশোরীর চিকিৎসা চলছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল নয়। পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।