বিধানসভায় সৌজন্যের নজির। বিরোধী দলের সদস্যদের আসনের সামনে গিয়ে তাঁদের প্রাক পুজোর শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যযায়। বিরোধী শিবিরের MLA দের কাছে গিয়ে তাঁদের উদ্দেশে নমস্কার জানালেন তিনি। পাল্টা সৌজন্য বিনিময় করেন বিরোধী দলের নেতারাও।
আজ CBI, ED-র বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনে রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাব নিয়ে উত্তপ্ত হয় বিধানসভা। শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা একে অপরকে আক্রমণ করেন। এই নিয়ে বিতর্ক হয়।
এই বিতর্ক শেষে ট্রেজারি বেঞ্চের দিকে এগিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বসে থাকা সবাইকে নমস্কার করেন। তারপর এগিয়ে যান বিরোধী দলের বিধায়কদের দিকে সেখানে গিয়ে বিধায়কদের নমস্কার করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেখানে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নমস্কারের পর শুভেন্দু অধিকারীও নমস্কার করেন। আরও অনেক বিধায়ক প্রতি নমস্কার করেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বিধানসভায় জানান, তিনি জানেন এখন ED বা CBI হল কেন্দ্রীয় সরকারের একটা গেম প্ল্যান। তবে প্রধানমন্ত্রী এর সঙ্গে জড়িত নন বলেই তিনি বিশ্বাস করেন। ২০১৬ ও ২০২১ সালেও বিজেপি চক্রান্ত করেছিল। সফল হয়নি। ২০২৪ সালের আগেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে বিজেপি। করে লাভ হবে না। কারণ, তার পর নাকি বিজেপি ক্ষমতাতেই থাকবে না।
বিজেপির চক্রান্তের প্রসঙ্গ তুলতে কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন তিনি। জানান, ওই দুই রাজ্যে টাকার বিনিময়ে বিজেপি সরকার ভেঙেছে। ঝাড়খণ্ডেও চেষ্টা করেছিল। তবে পারেনি। এত টাকা কোথা থেকে বিজেপি?
শুভেন্দুর বক্তব্য
CBI, ED-র বিরুদ্ধে রাজ্য বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনে তৃণমূল। তার বিরোধীতা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, CBI চাইলেই এরাজ্যে আসতে পারে না। হয় তাকে রাজ্য সরকার ডাকতে পারে অথবা আদালতের নির্দেশে এখানে কাজ করতে পারে। এই মুহূর্তে আমাদের রাজ্যে ১৫ টা ক্ষেত্রে ইডি বা সিবিআই তদন্ত করছে, সবটাই আদালতের নির্দেশ।
শুভেন্দুর আরও আক্রমণ করে বলেন, আলোচনা কোনও অধিকারই আপনার। এটা আইনগত প্রশ্নের সামনে দাঁড়াবে। আপনারা সিআইডিকে ব্যবহার করেন আমাদের বিরুদ্ধে। তবে যা আলোচনা করছেন করুন, আগেও যে বিল এনেছেন, কোনওটা কার্যকরী হয়নি… এটাও হবে না। কী ভাবে এই আলোচনা করেন?'