
আগামী ৭ ডিসেম্বর কলকাতায় 'পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ' কর্মসূচির আয়োজন করছে সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। দাবি করলেন আয়োজক তথা রিষড়া প্রেম মন্দিরের স্বামী নির্গুণানন্দ।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, 'আমরা ২ দিন আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার এবং লোকসভার স্পিকারকে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছি। রাজ্যপালকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। গতবার আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গের সব বিধানসভা সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এবারও আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হচ্ছে। সমাজের প্রতিটিস্তরের মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। এবার আমরা বাংলার কলাকুশলীদেরও আমন্ত্রণ জানাব। বাংলার ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষের কাছে এই সভায় যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হবে।' তিনি bangla. aajtak.in-কে আরও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে কি উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি বলেন, 'এটা নিয়ে আমি আর কী বলব। গীতাপাঠ নিয়ে আমার কোনও মন্তব্য নেই। আমি এই বিষয়ে চর্চা করব না। কোনওকিছু বলতেও পারব না।'
তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবির দাবি করেছেন, ৬ ডিসেম্বর তিনি মুর্শিদাবাদের মাটিতে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিমকে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেন, 'আমি এসবের মধ্যে যাব না। বাংলায় এসব চলে না। বাংলায় একসঙ্গে সবাই থাকে। রামকৃষ্ণদেবের যত মত তত পথের যে বাণী মেনে চলে এখানকার মানুষ।'
কেন এই গীতাপাঠের আসর বসানো হচ্ছে? আয়োজকরা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ বহুদিন ধরেই আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। সমাজে বিভাজন ও উত্তেজনার আবহে গীতার সারবত্তা মানুষের মধ্যে শান্তি, স্থিরতা ও মূল্যবোধ জাগাতে পারে, এটাই এই উদ্যোগের মূল প্রেরণা।