যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ব়্যাগিং আটকাতে তৎপরতা রাজ্য সরকারের। ব়্যাগিং আটকাতে কলকাতা পুলিশ আগেই হেল্পলাইন চালু করেছিল। এবার জেলায় জেলায় ‘ব়্যাগিং প্রিভেনশন সেল’ চালু করা হল রাজ্যের তরফে। প্রতিটি জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক এডুকেশন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ডিস্ট্রিক্ট এডুকেশন অফিসার এই সেলে থাকবেন। কলকাতার ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা দফতরের স্পেশাল সেক্রেটারি এই সেলের নেতৃত্বে থাকবেন।
ব়্যাগিং আটকাতে বেশকিছু নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কলকাতা পুলিশের অধীনে ব়্যাগিং নিয়ে কোনও অভিযোগ আসলে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্থানীয় থানার অফিসার ঘটনাস্থলে যাবেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিতে হবে প্রথম পদক্ষেপ। কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে তা জানাতে হবে ব়্যাগিং প্রিভেনশন সেলকে। এছাড়াও যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠবে সেই প্রতিষ্ঠাও কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে তাও জানাতে হবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। অর্থাৎ অভিযোগ আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ব়্যাগিং প্রিভেনশন সেলকে রিপোর্ট দিতে হবে।
এদিকে, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র্যাগিং রোধ করার জন্য একটি উপযুক্ত প্রযুক্তি আনার জন্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র সাহায্য চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় গভর্নর এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির চ্যান্সেলর ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে র্যাগিং দূর করার জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি আনার জন্য। রাজ্যপাল হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তারা ভিডিও বিশ্লেষণ, ইমেজ ম্যাচিং স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ এবং রিমোট সেন্সিং এর মতো একাধিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি উপযুক্ত সমাধান তৈরি করার চেষ্টা করছে।'