সোমবার ৫১ জনি বিধায়ক নিয়ে রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাজির হয়েছিলেন রাজভবনে। সেই বৈঠকের পরেই মঙ্গলবার দিল্লি গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিন দিনের দিল্লি সফরে তিনি যাচ্ছেন বলে নিজেই ট্যুইট করে জানান তিনি। রাজধানী যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া চিঠিও দিয়ে গিয়েছেন ধনখড়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আর এর মাঝেই জগদীপ ধনখড়কে ট্যুইটে আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
রাজ্যপালের দিল্লি সফর নিয়ে মহুয়া ট্যুইটে লেখেন, "আঙ্গলেজি জানিয়েছেন তিনি ১৫ তারিখ দিল্লি যাচ্ছেন...বাংলার রাজ্যপাল আমাদের জন্য এটুকু করবেন-আর ফিরবেন না।"
সোমবার শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠান চিঠিতে ফের একবার রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন তিনি৷ শোনা যাচ্ছে ৩ দিনের সপরে দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন জগদীপ ধনখড়৷ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হতে পারে তাঁর৷
রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনখড় বাংলায় আসার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের নানা বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগেই রয়েছে। রাজ্যপাল যেমন ট্যুইট করেন, তেমনি তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা ট্যুইটে তাঁর উত্তর দেওয়া হয়। একাজে অন্যতম হলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। রাজ্যপালকে একাধিকবার আঙ্কেলজি বলে আক্রমণ শানাতে দেখা গেছে মহুয়াকে। সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মহুয়া। রাজভবনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের আত্মীয়-পরিবারের সদস্যদেরই নিয়োগ করেছেন ধনখড়, এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদের সেই বিস্ফোরক অভিযোগের পাল্টা আবার ট্যুইটারে সোচ্চার হন রাজ্যপাল। ট্যুইটারে মহুয়া ভুল তথ্য পেশ করেছেন বলে মুখ খোলেন ধনখড়।