একাধিকবার কলকাতায় এসেছিলেন পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত জ্যোতি মালহোত্রা। কলকাতার কোণায় কোণায় ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর কীর্তি। সে সময়ে তাঁকে শহর চিনিয়েছিলেন এক বাঙালি ইউটিউবার। নাম সৌমিত ভট্টাচার্য। ঘটনার পর থেকে স্ক্যানারে তাঁর গতিবিধিও। তবে ইন্ডিয়া টুডে-কে ওই ইউটিউবার জানালেন, কখনও জ্যোতির ব্যবহারে সন্দেহজনক কিছু মনে হয়নি।
অযোধ্যা রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সময়ে জ্যোতির সঙ্গে আলাপ হয় সৌমিতের। এরপর দেখা হয় জ্যোতি পশ্চিমবঙ্গ সফরে এলে। সৌমিত বলেন, 'আমি হতবাক। ভাবতেই পারছি না, আমাদের পেশার কেউ এমনটা করে থাকতে পারে। তবে সমস্ত এজেন্সির উপর ভরসা রয়েছে। NIA হোক কিংবা হরিয়ানা পুলিশ, তারা যা করছেন সঠিক করছেন। সমস্ত সত্যি সামনে আসবে।'
রাম মন্দিরের উদ্বোধনের মাত্র কয়েক দিন আগেই এই দুই ইউটিউবারের সাক্ষাৎ হয়। সৌমিত ভট্টাচার্য বলেন, 'রাম মন্দিরের উদ্বোধনের ১০ দিন আগে আমি ভিডিও শুট করতে অযোধ্যা গিয়েছিলাম। সে সময়ে জ্যোতিও ওখানে ছিল। কনটেন্ট বানাচ্ছিল। প্রস্তুতি ঘুরে দেখছিল, কোন কোন অতিথি আসছেন, সেগুলি ক্যামেরাবন্দি করছিল। একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করেছিলাম আমরা। ওটাই প্রথম সাক্ষাৎ।'
প্রথম সাক্ষাতে কী বলেছিলেন জ্যোতি। সৌমিত বলেন, 'ট্রাভেল এজেন্টের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। আমার সিকিম এবং আন্দামান ভ্রমণ কে স্পনসর করেছে জিজ্ঞাসা করেছিল। রেফারেন্স চেয়েছিল আমার কাছে। অন্য আর ৫টা কনটেন্ট ক্রিয়েটর যেমনটা করে থাকে। কলকাতার বাস নিয়েও অনেক কথা হয় আমাদের। একজন ইউটিউবার আর একজন ইউটিউবারের সঙ্গে যেমন ভাবে কথা বলে, ঠিক তেমনই ক্যাজুয়াল কথাবার্তা হয়।'
ওই সাক্ষাতের পর থেকেই সৌমিতের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন জ্যোতি। এরপর দু'বার কলকাতায় এসেছিলেন জ্যোতি। দু'বারই সৌমিতের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। তৃতীয় এক ইউটিউবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই কলকাতায় এসেছিল জ্যোতি। সৌমিত বলেন, 'একসঙ্গে একটি ভিডিও করেছিলাম আমরা। বিরিয়ানি খেয়ে বিয়েবাড়ি গিয়েছিলাম। গত বছরও ও এসেছিল। একদিনের ট্রিপ ছিল সেটা। সেবারও আমরা বিরিয়ানি খেয়েছিলাম, পার্ক সার্কাসে।'
তবে কোনও সন্দেহজনক কিছু জ্যোতির মধ্যে লক্ষ্য করেননি সৌমিত। তাঁর কথায়, 'যদি ১ শতাংশও সন্দেহ হত, ও কোনও তথ্য পাচার করছে তাহলে কোনওদিন ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতাম না। আমায় কখনও এমন কিছু জিজ্ঞসা করেনি যা সন্দেহজনক হতে পারে।'