বিজেপি ছাড়লেন টলি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বানচনের আগে শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। যোগ দিয়েই বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে পদ্মশিবিরের প্রার্থীও হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে তৃণমূলের কাছে হেরে যান তিনি। ভোটের পরে আর বিজেপির কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায় শ্রাবন্তী। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিজেপি নিয়ে সক্রিয় ভূমিকাতে ছিলেন না বিখ্যাত এই টলি অভিনেত্রী। এদিন ট্যুইট করে শ্রাবন্তী জানান, বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। কারণ, বাংলাকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের উদ্যোগ এবং আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।
পয়লা মার্চ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ে একাধিক টলি তারকা বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। পায়েল, তনুশ্রী চক্রবর্তী, যশ-সহ একাধিক টলিউড তারকা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। প্রত্যেককে প্রার্থী করে বিজেপি। কিন্তু নির্বাচনে কেউই জয়ের মুখ দেখতে পারেননি। ভোটপর্ব মেটার পরে এদের কাউকে বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা যায়নি বলা যায়।
শ্রাবন্তীকে ইস্যুতে বিজেপির অন্দরে একাধিকবার কোন্দল দেখা গিয়েছিল। দলের বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায় ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে নিশানা করেছিলেন। কোনও এক পুরোনো বিজেপি কর্মীর মন্তব্যকে টুইটারে পোস্ট করেন তথাগতবাবু। লিখেছেন, 'বিজেপির এক বহু পুরোনো কর্মী স্বপন দাশের মন্তব্য: "নির্বাচনের ঠিক আগে জয়নগরে সভা পরিচালনা করছিলাম, আগেরদিন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, কৈলাশজী তার ভাষনে শুধু শ্রাবন্তীর নাম….শুধু শ্রাবন্তী বন্দনায় মগ্ন ছিলেন যেন লালা ঝরছে। লজ্জা করছিল আমার,এরা আমাদের নেতা?"
যদিও বিজেপিতে কোনও তাঁকে নিয়ে অনেক বিতর্ক সৃষ্টি হলেও শ্রাবন্তী কোনও বিতর্কের কখনও জবাব দেননি। ভোটপর্ব মেটার পরে দলীয় কর্মসূচিতেও দেখা যায়নি। এদিন ট্যুইট করে বিজেপির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি।