'হে পার্থসারথি
বাজাও বাজাও পাঞ্জজন্য-শঙ্খ।'-- বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের এই কবিতাই লক্ষকণ্ঠে উচ্চারিত হবে ব্রিগেডের ময়দানে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর বসছে গীতাপাঠের আসর। যে অনুষ্ঠান ঘিরে লোকসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বের হাওয়া উস্কে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব্রিগেডে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও। যদিও উদ্যোক্তারা বলছেন, এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠের আসর বসছে ব্রিগেডে। অনুষ্ঠানে থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে তাঁর সময় এখনও পর্যন্ত মেলেনি বলে জানিয়েছেন সংগঠনকরা। অতিথি আসনে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতানেত্রীরা। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ নজিরবিহীন। তাই এত মানুষের গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে থাকবেন ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’-এর প্রতিনিধিরাও।
গীতাপাঠের অনুষ্ঠান ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে চর্চা। লোকসভা ভোটের আগে এই অনুষ্ঠান কতটা ধর্মীয় আর কতটা রাজনৈতিক তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিরোধী শিবিরের দাবি, পরিকল্পিতভাবে হিন্দুত্বের হাওয়া তুলতেই এই পরিকল্পনা। বাংলা ডট আজতক ডট ইন-কে সংগঠক কমিটির সভাপতি কার্তিক মহারাজ জানালেন,'এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। আপামর হিন্দুদের মাঝে গীতার আদর্শকে তুলে ধরতেই গোটা আয়োজন।'
গীতাপাঠের মাঝেই রয়েছে বড় চমক! কাজি নজরুল ইসলামের লেখা 'পার্থসারথি' কবিতা পাঠ করা হবে ওই দিন। যে কবিতায় নজরুল লিখেছেন, 'হে পার্থসারথি বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য-শঙ্খ। চিত্তের অবসাদ দূর করো, করো দূর, ভয়-ভীত জনে করো হে নিঃশঙ্ক।।' কার্তিক মহারাজের কথায়,'সকাল ১১টায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। ২ ঘণ্টা ধরে চলবে। ১০টা থেকে প্রবেশ করতে পারবেন। বিনামূল্যে গীতাও বিতরণ করা হবে। শুরুতেই লক্ষকণ্ঠে পাঠ করা হবে নজরুলের কবিতা।'