
কারও প্রতিপদ তো কারও আবার দ্বিতীয়া। ভাইফোঁটার প্রস্তুতি চলছে বাংলার ঘরে ঘরে। ভাই-দাদাদের দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গলকামনা করে এই কপালে ফোঁটা দেওয়ার উৎসবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পেটপুজো। আর সেই পেটপুজোর আয়োজন করতে গিয়েই নাভিঃশ্বাস উঠছে দিদি-বোনেদের। মিষ্টি থেকে শুরু করে ফল কিংবা মাছ-মাংস, সবেতেই পকেটে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। যমের দুয়ারে কাঁটা পড়ার আগে, পকেট ফাঁক হয়ে যাচ্ছে বাঙালির।
অগ্নিমূল্যের বাজারে ৫ রকম ফল, ৫ রকম মিষ্টি আর লাঞ্চ কিংবা ডিনারে ইলিশ মাছ আর কচি পাঁঠার ঝোল রাঁধতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দিদি-বোনেরা। কোন কোন জিনিসের কী দাম চলছে বাজারে?
সব্জির দাম
চন্দ্রমুখী আলু- ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি
পেঁয়াজ- ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি
পটল- ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি
বেগুন- ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি
টমেটো- ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি
কাঁচালঙ্কা- ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি
বাঁধাকপি- ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি
ফুলকপি- ৩৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি
ঝিঙে- ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি
ফল
আপেল- ১২০ টাকা কেজি
কলা (ডজনপ্রতি)- ৬০ টাকা
পেয়ারা- ৮০ টাকা কেজি
শশা-৬০ টাকা কেজি
বাতাবি লেবু- ৩০ টাকা কেজি
মুসাম্বি লেবু- ১০০ টাকা কেজি
তরমুজ- ৪০ টাকা কেজি
নাশপাতি- ১২০ টাকা কেজি
বিদেশি নাশপাতি- ৪০০ টাকা কেজি
মেরুন আঙুর- ৩৫০ টাকা কেজি
সবুজ আঙুর- ৬৫০ টাকা কেজি
মাছ-মাংস
কাটা রুই- ৩৫০ টাকা কেজি
গোটা রুই- ২৫০ টাকা কেজি
কাটা কাতলা- ৪০০ টাকা কেজি
গোটা কাতলা- ৩০০ টাকা কেজি
পমফ্রেট- ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি
বড় ইলিশ- ১৮০০ টাকা কেজি
খোকা ইলিশ- ৮০০ টাকা কেজি
চিতল- ১২০০ টাকা কেজি
তেলাপিয়া- ১৬০ টাকা কেজি
পাবদা- ৫০০ টাকা কেজি
ভেটকি- ৭০০ টাকা কেজি
বাগদা চিংড়ি- ৮০০ টাকা কেজি
গলদা চিংড়ি- ১৪০০ টাকা কেজি
মুরগির মাংস- ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি
মটন- ৮৮০ থেকে ৯৮০ টাকা কেজি
মিষ্টির দামেও আগুন। বেকড রসগোল্লা হোক বা জলভরা তালশাঁস, সব মিষ্টিরই দাম ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ভাইফোঁটার সময়ে। ফলে ভাইফোঁটার বাজার করতে গিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি দেখে চিন্তার ভাঁজ সাধারণের কপালে। এবারের ভাইফোঁটা অনেকের কাছেই আর আগের মতো ‘ঘটা করে’ নয়, বরং ‘নমো-নমো’ করেই সারতে হচ্ছে উৎসব।