রাজ্য হোক বা কেন্দ্র, যে কোনও সরকার বিরোধী ছোট-বড় মিছিলে এখনও পা মেলাতে দেখা যায় বিমান বসুকে। বয়স পেরিয়েছে ৮৬। তা সত্ত্বেও সাদা ধুতি-পাঞ্জাবিতেই সামনের সারিতে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সামিল হন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান। তবে এবার ডাক্তার বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন বিমান বসুর বয়সের কথা মাথা রেখে।
আলিমুদ্দিনই সংসার বিমান বসুর। বই, বিড়াল আর গাছ-গাছালি নিয়ে থাকেন বর্তমানে CPIM-এর অন্যতম বরিষ্ঠ এই নেতা। তবে ৯০ ছুঁইছুঁই এই নেতা উদ্দীপনা ঠিক যেন তরুণদের মতোই।
এই বিমান বসুকেই শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের সন্ধ্যায় রাজভবনের চা-চক্রে যোগ দিতে দেখা যায়। প্রতিবছরের মতো এবছরও প্রোটোকল মেনে মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের সঙ্গেই রাজভবনের চা-চক্রে আমন্ত্রিত ছিলেন বিরোধী দলের বরিষ্ঠ নেতারাও। ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, কুণাল ঘোষদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করতে। সেখানেই জানা গেল, ৮৬ বছরের বিমান বসুকে ডাক্তার কী কী পরামর্শ দিয়েছেন।
কুণাল ঘোষের এক্স অ্যাকাউন্ট পোস্ট থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ৮৬ বছরের ফ্রন্ট চেয়ারম্যানকে একাধিক বিধিনিষেধ করে দিয়েছেন চিকিৎসক। তাঁকে যত ইচ্ছে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হলেও বৃষ্টিতে ভিজতে নিষেধ করা হয়েছে। বয়সজনিত কারণেই চিকিৎসকের এই পরামর্শ।
শুক্রবার রাজভবনের চা-চক্রে সৌজন্যের দৃশ্য চোখে পড়ে। বিমান বসু এবং বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসে কথা বলতে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। আবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমান বসুকে দেখেই এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করেন, 'বিমানদা কেমন আছেন?' বর্ষীয়ান বামনেতাকে শরীরের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা কুশল বিনিময় করেন বিমানও।
পাশাপাশি রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে তবে তাঁর জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে না বসে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে গিয়ে বসতে দেখা যায় মমতাকে। রাজভবনে স্বাধীনতা দিবসের চা-চক্রে ছিল চাঁদের হাট। ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, গায়িকা ঊষা উত্থুপ সহ অন্যান্যরা।