ভাটপাড়া পুরসভায় টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে তলব করে সিআইডি। তলব পেয়ে ভবানী ভবনে যান অর্জুন। সিআইডির কাছে হাজিরা দেওয়ার আগে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, সিআইডি বা ওই ধরনের এজেন্সির মাধ্যমে তাঁকে, শুভেন্দু অধিকারীকে এবং আরও কয়েকজন বিজেপি নেতাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ভাটপাড়া পুরসভার ৪ কোটি টাকার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে অর্জুন সিংয়ের। তা নিয়ে সিআইডি তাঁকে তলব করে। হাইকোর্টের দ্বারস্থও হন অর্জুন। তবে রাজ্যের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদকে সিআইডির কাছে হাজিরা দিতে হবে। হাজিরা দিতে যাওয়ার আগে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন অর্জুন।
অর্জুনের কথায়, 'একটা মিথ্যা মামলা করে ২০২০ সাল থেকে আমাকে হেনস্থার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বাংলায় যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের বিরুদ্ধে কথা বলবে, তাদের টার্গেট করে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হবে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকি সেজন্য তৃণমূল তেমন কিছু করে উঠতে পারছে না।'
তারপরই রাশিয়ান কেমিক্যালের তত্ত্ব শোনা যায় অর্জুনের কথায়। বলেন, 'এর আগে আপনারা শুনেছিলেন তৃণমূলবের টাকা বাইরে পাঠানোর জন্য রাশিয়ানদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। আমরা নানা এজেন্সির মাধ্যমে সেই খবর পাচ্ছি। আমাদের মেরে দেওয়ার চক্রান্ত করছে তৃণমূল। ওদের প্রধান টার্গেট শুভেন্দু ও অর্জুন। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে থাকি বলে কিছু করতে পারছে না। আমরা খবর পেয়েছি, রাশিয়া থেকে স্মাগল করে কেমিক্যাল আনা হয়েছে। চার থেকে পাঁচজন বিজেপি নেতাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে।'
রাশিয়ান কেমিক্যাল কীভাবে প্রয়োগ করা হবে তা নিয়েও ব্যাখ্যা দেন অর্জুন। বলেন, সেই কেমিক্যাল শরীরে টাচ হয়ে গেলেই প্রতিক্রিয়া শুরু হবে। এই কেমিক্যাল মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর করে দিতে পারে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস এখন থেকে এটা করছে। অর্জুন বলেন, 'হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক যাচ্ছি ভবানী ভবনে। তবে আমাদের উপর রাশিয়ান কেমিক্যাল প্রয়োগ করা হতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যদি কোনও মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয় তাহলে এই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, সিআইডি দায়ি থাকবে।'