সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে উদ্ধার হওয়া সেই তরুণী নার্সের দেহের দখল ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গের সামনে। CPIM ও বিজেপির দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
এদিন শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল থেকে সেই নার্সের দেহ নিয়ে আসা হয় কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গের সামনে। শববাহী যানের ভিতরেই ছিলেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। বিজেপির দাবি, মৃতার পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে কল্যাণী এইমসে তাঁরা দেহের ময়নাতদন্ত করাতে চান। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছে বামেরা। যদিও বামেদের দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির সেটিং রয়েছে। আরজি করের ঘটনার মতো এই নার্সের ঘটনাও ধামাচাপে দেওয়ার চেষ্টা করবে গেরুয়া শিবির।
এদিকে অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির সমর্থকরা বলেন, মৃতার পরিবার কল্যাণী এইমসে দেহের ময়নাতদন্ত করাবেন জানিয়েছেন। সেই ব্যবস্থা তাঁরা করতেই এই জমায়েত করেছেন। দুপক্ষই তাদের দাবিতে অনড় থাকে। একে অপরের দিকে তেড়ে যায় তারা। হাতাহাতি শুরু হয়। বচসা চলতে থাকে। হাতাহাতি থামাতে সেখানে নামে পুলিশ। দুপক্ষকে বিরত করা হয়।
সিঙ্গুরের একটি নার্সিংহোমে কাজ করতেন ২৪ বছরের তরুণী। পুলিশ জানায়, ওই নার্সের দেহ তিনতলার একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে। সেখানে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএম ও বিজেপি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও শুরু হয়। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির সামনে বসে পড়েন।
এদিকে সেই দেহ নিয়ে তখন রওনা দেয় পুলিশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সেখানেও বিক্ষোভ চলতে থাকে। ফলে কোথায় সেই দেহের ময়নাতদন্ত হবে তা ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
মৃতার বাবা জানান, তাঁদের ওয়ালস হাসপাতাল থেকে না জানিয়ে জোর করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি চান না, এখানে ময়নাতদন্ত হোক। পুলিশকে সেকথা জানিওছেন। তাঁর ইচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করানোর।