পুজো মিটতেই ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। একাদশীর দিন থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল শাসক এবং বিরোধী, দুই শিবিরেই। একদিকে, শুক্রবার শহরে এসে পৌঁছলেন BJP-র দুই নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব এবং বিপ্লব দেব। বৈঠক করবেন বঙ্গ BJP-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। অন্যদিকে, কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূলও। শুরু হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় বিজয়া সম্মিলনী।
পশ্চিমবঙ্গে দলের হয়ে নির্বাচনের কাজ দেখভালের জন্য ‘ইনচার্জ’ নিয়োগ করেছে BJP। কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাংসদ বিপ্লব দেবকে সহ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। দু'জনেই শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এরপর BJP-র শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁদের। মনে করা হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর রূপরেখা তৈরি করে দেওয়ার জন্যই এসেছেন ভূপেন্দ্র এবং বিপ্লব। কেন্দ্রের BJP নেতৃত্বও যে এবার নির্বাচনের আগে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে, তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে একাদশীতে দুই পর্যবেক্ষকের কলকাতা সফর দেখে। দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালের রোডম্যাপ ছকে ফেলেছেন তিনি। ফলে কোনও প্রকার খামতি রাখতে চাইছে না গেরুয়া শিবির।
রাজ্যে ভোটের আগে কোনও সর্বভারতীয় স্তরের নেতাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত করা নতুন কোনও বিষয় নয়। যদিও ২০২১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি। তখন ‘সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক’ হিসাবে এ রাজ্যে কাজ করছিলেন শিব প্রকাশ। ‘রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক’ ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তাঁদের সাহায্য করার জন্য ভূপেন্দ্রকেই সে বারেও পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বঙ্গে নির্বাচনী অভিযান দেখভালের জন্য যথেষ্ট সময় দিয়েছিলেন, তবে এবার তাঁর দায়িত্ব আরও বেশি।
এদিকে, তৃণমূলও চুপ করে বসে থাকছে না রাজ্যের শাসকদলও। ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৫০ জন বক্তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এই বক্তারা রবিবার থেকেই ময়দানে নামছেন। পাড়ায় পাড়ায় বিজয়া সম্মিলনী আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে বক্তব্য রাখবেন তাঁরা।