বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে ফের উত্তেজনা ছড়াল। সোমবার বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে বলতে না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে স্পিকারকে শেষ পর্যন্ত মার্শাল ডাকতে হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
সূত্রের খবর, বাজেট অনুমোদন নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সে সময় তাঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্পিকার বলেন, 'এসব বলে কোনও লাভ নেই।' জবাবে হিরণ পাল্টা বলেন, 'কিসে লাভ হবে, কিসে হবে না, সেটা কেন বলছেন?' এরপরই দু’জনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ের আগেই হিরণের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা নিয়ে বিজেপি বিধায়কদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে বিধানসভার ভেতরে স্লোগান দিতে থাকেন বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাং, শঙ্কর ঘোষসহ অন্যান্যরা। স্পিকার তাঁদের থামতে বললেও তাঁরা প্রতিবাদ চালিয়ে যান। এরপরই স্পিকার মার্শাল ডাকেন এবং মনোজ ওরাংকে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এরই মধ্যে আরও এক বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড হয়েছেন। ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মনের বিরুদ্ধে বিধানসভার ভেতরে স্পিকারের প্রতি ‘অভব্য আচরণের’ অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিধানসভার বাইরে এসে বিজেপি বিধায়কেরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং স্লোগান দেন। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে এবং গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে দুর্বল করছে। তবে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।