বিধানসভা চত্বরে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৫ বিজেপি বিধায়ককে সোমবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'এসব ফালতু ঝামেলায়, ফালতু বিতর্কে আমাদের পার্টির লোকেরা জড়াবে না। কিন্তু শোভনদেববাবুর মতো লোককে এর মধ্যে ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উনি কেন এর মধ্যে পড়তে যাচ্ছেন? যাঁর পার্টির নেতা-নেত্রীরা জাতীয় সংগীত জানেনই না, গাইতে জানেন না, পুরোটা মুখস্ত নেই, তাঁরা অন্যদেরকে রাস্তা দেখাচ্ছেন। শোভনদেববাবুর মতো ভদ্রলোক এর মধ্যে পড়ে নিজের বদনাম করছেন।'
এদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ উঠেছে বুধবার বিধানসভায় উপস্থিত না থাকা বিধায়কদের নামেও এফআইআর করা হয়েছে। এনিয়ে দিলীপ বলেন, 'শুনেছি খড়গপুরের বিধায়ক হিরণ ছিল না, তার নামও দেওয়া হয়েছে। এটা পুরোপুরি প্রতিহিংসাপরায়ণ। যদি চক্রান্ত করতে হয় সেটাও গুছিয়ে করা উচিত। সে যোগ্যতাও এদের নেই। এই সমস্ত আলতু ফালতু কাজ করে লোক হাসানো হচ্ছে।'
বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, এই দাবি করে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। পাল্টা দিলীপ এদিন বলেন, 'এইসব দিবাস্বপ্ন তৃণমূল অনেক দিন ধরে দেখছে। ওদের পার্টিটা ধীরে ধীরে উঠে যাচ্ছে সেইটা দেখছে না। কে বুড়ো কে ছোড়া, সেই নিয়ে লড়াই চলছে। নিজের পার্টির নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কামান দাগছে। বিজেপিকে দেখতে হবে না। বিজেপি অনেক বড় পার্টি, কল্পনাও করতে পারবে না কত গভীরে শিকড় আছে। বিজেপি তো তিনজন নেতা আছে। যিনি নেতা তিনি ভেতরে ঢুকে গেছেন, নতুনদের কেউ স্বীকার করছে না। এই ঝামেলা থেকে বেরিয়ে আসুন, তারপর বিজেপিকে নিয়ে ভাববেন।
এদিকে বিধানসভায় দিলীপ গেলেও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। এই বিষয়ে দিলীপ বলেন,'বিরোধী দলনেতাকে তো ওনারা সাসপেন্ড করে রেখেছেন, তাও তো উনি গেছেন, দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি জানি উনি থাকবেন না, উনি জানেন আমি যাব। আমি গেছিলাম বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে। প্রত্যেকবারই যাই।'
কল্যাণী এমস নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের সিআইডির তলব দুই বিজেপি বিধায়ককে। এনিয়ে দিলীপের বক্তব্য, 'আটজনকে ভরবেন বলেছিলেন, একজনকেও ভরতে পারবেন না। এই সমস্ত চক্রান্ত চলছে, সাজানো ঘটনা মানুষও জানেন, দু-চার দিন পুলিশ দৌড়াদৌড়ি করবে। না আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারছে, না তৃণমূল নেতাদের রক্ষা করতে পারছে। এর মধ্যে পড়ে পুলিশ আরও বড় হচ্ছে। সেই জন্য বিজেপিকে চক্রান্ত করে কেউ কিছু করতে পারবে না।'