BJP leader Jitendra Tiwari and his wife arrested: আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। আশঙ্কা ছিলই, এর আগে আগাম জামিনের আবেদনও জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁর আবেদন খারিজ করে। এরপর সুপ্রিম কোর্টেও যান তিনি। সেখানে শুনানির আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। হুড়োহুড়ির মধ্যে প্রাণ যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী-সহ তিন জনের। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন, স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর ও পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি, যিনি জিতেন্দ্রর স্ত্রী। ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বেরিয়ে যাওয়ার পরই হুলস্থুল বাধে বলে জানা গিয়েছিল।
সেই ঘটনায় পুলিশের এফআইআর-এ জিতেন্দ্র, তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ একাধিক নাম ছিল। অনিচ্ছাকৃত খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। নিহতদের আসানসোলের কাল্লার বাসিন্দা চাঁদমণি দেবী, ঝালি বাউড়ি এবং রামকৃষ্ণডাঙার ১২ বছরের প্রীতি সিংহ হিসেবে শনাক্ত করা যায়। সেই ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয় কয়েকজনকে।
এই ঘটনায় জিতেন্দ্রর বাড়িতেও যায় পুলিশ। বেশ কয়েক বার, বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখে ফিরে আসতে হয় পুলিশকে। দীর্ঘ টালবাহানার পর চৈতালিকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলেন জিতেন্দ্র। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে থেকে রক্ষাকবচও পান চৈতালি। কিন্তু পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত বন্ধ করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত। চৈতালিতে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে চৈতালি তিওয়ারির ওয়ার্ডে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। এই ঘটনায় আগেই চৈতালি তিওয়ারি ও জিতেন্দ্র তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, শনিবার আগ্রা থেকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দিল্লি যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী। পথে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে জিতেন্দ্র তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে।এই ঘটনায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। বিশেষ করে যখন তাঁর আগাম জামিনের আবেদন আদালতে বিচারাধীন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইন আদালত মানে না।পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বারবার তলব করলেও তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না জিতেন্দ্র ও চৈতালি।