বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই বাবুন। কার্যত এই দাবিই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে দাবি করলেন, বাবুনের সঙ্গে গত দুদিনের কথোপকথন ফাঁস করে দেবেন।
এ দিন শুভেন্দু বলেন,'কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে কাউন্সিলর করে তাঁকে রাজনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাইয়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল একুশ সালে, তোকে আমি এমপি করব। ভাইকে সাংসদের টিকিট দেননি। ভাগ-বাটোয়ারায় কম পড়েছে, তাই এসব কথা বলেছেন।'
বাবুন দাবি করেন, কোনওদিন বিজেপিতে যোগ দেবেন না। এই নিয়ে শুভেন্দু জানান,'বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা কথা আপনাদের মাধ্যমে বলে গেলাম, আপনার দিদির সঙ্গে মানে আমাদের ঠগি পিসির সম্পর্কে আপনি যা পারেন বলুন, বিজেপির কথা বলবেন না। বিজেপির সঙ্গে গত দুদিনে আপনার কী কথা হয়েছে, সেটা ফাঁস করে দেব। আমি আপনাকে সতর্ক করছি। আপনি বলেছেন, বিজেপিতে যাব না। বিজেপিই আপনাকে নেবে না। বিজেপি কর্মীদের আবেগ বোঝে।'
সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের কাউকে নেবেন না। শুভেন্দুর কথায়,'বিজেপি ওই পরিবারকে চোর বলেছে, ওই চোরেদের কাউকেই নেবে না। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি। আপনি বিজেপির সঙ্গে দুদিন কী করেছেন, আমার এই মোবাইল ফোনে আছে, আপনি আর একবার বিজেপির নাম বলেন, আগামিকাল এমন হাঁটে হাঁড়ি ভাঙব, আপনি পরেরদিন আর মুখ দেখাবেন না।'
হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন মমতার ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, হাওড়ায় নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়বেন। এনিয়ে বাবুনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। তিনি বলেন,'বড় হলে অনেকের লোভ বেড়ে যায়। পরিবারকে বাদ দিয়ে যে যার খেলা খেলে। আজ থেকে আমার পরিবারের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ। ওঁর (বাবুন) সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ওঁর সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আজ থেকে কেউ ওঁকে আমার ভাই হিসাবে কোনও পরিচয় দেবেন না'।
bangla.aajtak.in-কে বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অভিভাবক। দিদি আমাকে বকা দিয়েছেন। আমার হয়ত কোথাও ভুল হয়েছে সেই কারণেই। আমার সঙ্গে দিদির আগামি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কথা হবে। তারপরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'