Advertisement

Dilip-Suvendu: মিষ্টিমুখ-হাসাহাসি-আড্ডা, দিলীপের জন্মদিন হইহই করে পালন শুভেন্দুর

এবারের লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেছে একদা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তাঁর হারের পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বারবার। একাধিকবার রাজ্য নেতৃত্বকে কটাক্ষ করতেও দেখা গেছে দিলীপকে। তবে নিজের জন্মদিনে এক্কেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দিলীপকে।

জন্মদিনে দিলীপকে নিজের হাতে মিষ্টিমুখ শুভেন্দুর
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 01 Aug 2024,
  • अपडेटेड 3:42 PM IST

এবারের লোকসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর থেকেই একাধিকবার দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেছে একদা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।  তাঁর হারের পিছনে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন। একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বারবার। একাধিকবার রাজ্য নেতৃত্বকে কটাক্ষ করতেও দেখা গেছে দিলীপকে। তবে নিজের জন্মদিনে এক্কেবারে অন্য মেজাজে দেখা গেল লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ দিলীপকে। 

লোকসভার সাংসদ হওয়ার আগে বাংলার বিধায়ক ছিলেন দিলীপ ঘোষ। নিজের জন্মদিনের দিন তাঁর পুরনো কর্মস্থলে দেখা গেল দিলীপকে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় এসেছিলেন দিলীপ। দলের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। খোশগল্প ও আড্ডা হয় নিজেদের মধ্যে। তারপরই বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু অধিকারী  এগিয়ে এসে মিষ্টি খাওয়ান দিলীপকে। আর এই ছবিই প্রশ্ন তুলছে, বঙ্গ বিজেপিতে তাহলে কি  শুভেন্দু-দিলীপ দ্বন্দ্বের অবসান ঘটল? 

 

সবাই জানে বঙ্গ বিজেপির অঘোষিত দু’পক্ষ দিলীপ এবং শুভেন্দু। সে কথা ঠারেঠোরে বোঝা গিয়েছে  একাধিক বার। তাঁর নিজের খাস এলাকা মেদিনীপুর থেকে এ বার দিলীপ ঘোষকে  লোকসভা ভোটে লড়তে দেওয়া হয়নি। অপরিচিত দুর্গাপুর আসনে লড়ে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন বিজেপির দাপুটে নেতা। এই নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলতে দেখা গেছে দিলীপকে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলের পর শুভেন্দুর ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সাংগাঠনিক দিকে থেকে বিভিন্ন সূত্রে খবর এসেছে বঙ্গ বিজেপির খোলনলচে বদলাতে পারে।  দিল্লির নেতারা বারবার বঙ্গ বিজেপির অন্তর্কলহ নিয়ে উস্মা প্রকাশ করেছেন। এই আবহে বিধানসভায় দিলীপ ও শুভেন্দুর পরস্পরের এগিয়ে আসাটা অর্থবহ। দিলীপ যেমন জানতেন, বিধানসভায় এলেই শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা হবে। আবার শুভেন্দুও এগিয়ে এসে বোঝাতে চান, দিলীপদাকে নিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত কোনও বিরাগ নেই। বার্থডে বয়কে কেক মিষ্টি খাওয়ানোর পাশাপাশি উত্তরীয় পরিয়ে শুভেন্দু যেন বলতে চাইলেন ‘আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি’। দিলীপ নিজেও জানালেন বিধায়কদের আমন্ত্রণেই তিনি এসেছিলেন, শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়েছে। 

Advertisement

এদিন ছিল দিলীপের ৬০তম জন্মদিন। আর সেই জন্মদিনই ধুমধাম করে পালিত হল বিরোধী দলনেতার ঘরে। দেখা গেল,মিষ্টি খাইয়ে দিলীপকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন শুভেন্দু। উপস্থিত বাকি একজনের থেকে চেয়ে নিলেন উত্তরীয়। দিলীপের মুখে মৃদু হাসি। পাশে ছিলেন অগ্নিমিত্রাও।  শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও ছিলেন অনুষ্ঠানে। সব মিলিয়ে যেন পাওয়া যাচ্ছে এক নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত।  প্রসঙ্গত, দিলীপ ঘোষ রাজ্য বিজেপির সভাপতি থাকাকালীন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু। মেদিনীপুরের মঞ্চে অমিত শাহর হাত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে পতাকা নেওয়ার পর শুভেন্দু দিলীপের সঙ্গে সখ্য রেখেই চলতেন। শুভেন্দুকে একদিন বাড়িতে ডেকে খাইয়ে দাইয়ে একটা জহর কোটও উপহার দিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দেখা যায় পারস্পরিক দূরত্ব বাড়ছে। লোকসভা ভোটের সময়ে ও তার পরে এই দূরত্ব আরও বাড়ে। কারণ, দলের মধ্যে এই ধারণা জোরালো হয় যে শুভেন্দুর পরামর্শেই দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করা হয়েছে। নতুন আসনে হেরে শুভেন্দুর উদ্দেশে ঠারেঠোরে অনেক কথাও বলেছিলেন দিলীপ। তারপরে আজকের ঘটনা  রাজনৈতিক দিক থেকে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ।  শুভেন্দু দিলীপ দূরত্বের জল্পনার মধ্যেই এই ছবি  নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement