লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিতে এবার অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রতি মাসে মহিলাদের ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে। তার পাল্টা BJP-র প্রতিশ্রুতি মতো অন্নপূর্ণা ভাণ্ডা বাংলার মা-বোনেদের হাতে কত টাকা আসতে চলেছে?
ভোট এলেই রাজনৈতিক দলগুলি ভাতা নিয়ে প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার' প্রকল্পের আদলে তৈরি মধ্যপ্রদেশের লাডলি বহেনা যোজনা হোক কিংবা মহারাষ্ট্রের লাডকি বহিন যোজনা, ভোটের বাজারে কামাল করেছে। সেই পথে হেঁটেই এবার বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার'-এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বঙ্গ BJP।
২০২৬ সালে বাংলায় ক্ষমতায় এলেই 'অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার' দেওয়া হবে মহিলাদের। এমনটাই জানিয়েছেন BJP-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছি, বিজেপি ক্ষমতায় এলে আমরা অন্নপূর্ণা ভান্ডার চালু করব।' রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন, 'এই ভাতা দেওয়া হবে মহিলাদের। তবে এটাও ঠিক ভাতা থাকা মানে এই নয় যে কর্মসংস্থান হবে না।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১ হাজার টাকা করে পান মহিলারা। তফশলি জাতি, উপজাতিরা পান ১৫০০ টাকা করে। তবে BJP-র ঘোষণা, ক্ষমতায় এলে ২০২৬ সাল থেকে 'অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার' প্রকল্পে মহিলারা হাতে পাবেন মাসিক ৩ হাজার টাকা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্পের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই ২০২৬ নির্বাচনের আগে এই চমক দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তবে এই প্রকল্পের সদস্য হওয়ার জন্য ঠিক কী কী মাপকাঠি লাগবে তা অবশ্য জানায়নি পদ্ম নেতারা।
এর আগে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য করে বিতর্ক জড়িয়ে পড়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। BJP-র রাজ্য সভাপতি বলেছিলেন, 'পাড়ার লোকদের বলুন বিজেপির সদস্য হওয়ার জন্য। তারা বলবে কেন করব? মহিলাদের বোঝান যদি অন্নপূর্ণা যোজনার তিন হাজার টাকা পেতে চান বিজেপির মেম্বারশিপ ফর্ম ফিলাপ করুন।'