Blood Donors Club in School: স্কুলপড়ুয়ারা মিলে তৈরি করল রক্তদাতাদের ক্লাব। নিজেদের স্কুলেই তা খোলা হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ, রক্তদাতা সংগঠনের দাবি, এমন নজির এর আগে দুনিয়ার কোথাও নেই। বাংলার এক স্কুলে এই ক্লাব চালু হয়েছে। সেটি হল নিউ ব্যারাকপুর কলোনি বয়েজ হাই স্কুল।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন উদ্বোধন
২ অক্টোবর, গান্ধী জয়ন্তীর দিন ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়। উত্তর ২৪ পরগণা জেলার নিউ ব্যারাকপুর কলোনি বয়েজ হাই স্কুলে তৈরি করা হয়েছে। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
উদ্যোক্তাদের দাবি
দেশের রক্তদাতাদের অন্যতম বড় সংগঠন ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ব্লাড ডোনার্স অর্গানাইজেশন (ফিবডো)-র সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরূপ বিশ্বাস দাবি করেন, স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে রক্তদাতাদের ক্লাব এর আগে কোথাও তৈরি হয়নি। পড়ুয়াদের মধ্য়ে রক্তদানের ব্য়াপারে আরও সচতেনতা বাড়াতে তা তৈরি করা হয়েছে।
কী কাজ ক্লাবের?
ওই ক্লাব আশপাশের স্কুল, মানুষকে রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে জানাবে-বোঝাবে। মানুষকে যাতে রক্তদানে উৎসাহিত করা যায়, তার ব্যবস্থা নেবে। মেম্বারশিপের উদ্যোগ নেবে। নিয়ম অনুসারে, ১৮ বছরের কম বয়সীরা রক্ত দিতে পারে না। স্কুল পডুয়ারা নিজেরা রক্ত দিতে পারবে না ঠিকই। তবে সবাই যাতে দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিক লক্ষ্য, একজন পড়ুয়া একজন করে রক্তদাতা আনবে।
সাহায্য়ে বাকি ক্লাব
নিউ ব্য়ারাকপুরের ওই স্কুলে রয়েছে ফিলাটেলি ক্লাব, ড্রামা ক্লাব, ন্যাচরাল হিস্ট্রি ক্লাব, ফোটোগ্রাফি ক্লাব। তারাও সেই কাজে ভূমিকা নেবে। মানে মানুষকে রক্তদান নিয়ে সচেতন করার কাজে ওই ক্লাবগুলিও সক্রিয় ভাবে কাজ করবে। ওই ক্লাবগুলোর উদ্য়োগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়। ফলে কাজে অনেক সুবিধা হবে।
প্রধানশিক্ষকের ভূমিকা
এই ক্লাব তৈরি নিউ ব্যারাকপুর কলোনি বয়েজ হাই স্কুল প্রধানশিক্ষক অনিরুদ্ধ বিশ্বাসের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লেড়াপড়ার পাশাপাশি পড়ুয়া-শিশুরা যাতে সামাজিক কাজে আরও বেশি করে যুক্ত থাকে, তাই এই উদ্যোগ। সেখানে ছাত্র রয়েছে ১,৮৪৩ জন। ফাইভ থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত সেখানে লেখাপড়া করে পড়ুয়ারা।
ফিবডোর প্রতিক্রিয়া
ফিবডোর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরূপ বিশ্বাস, ওই স্কুলের শিক্ষক বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, "এটা ভাল উদ্যোগ। আশা করি, এর ফলে রক্তদাতাদের সংখ্যা আরও বাড়বে। অন্যান্য স্কুলও যদি এমন ক্লাব খোলে, অনেকের উপকার হবে।"
তিনি আরও বলেন, "ছোটবেলা থেকেই শিশুদের মধ্যে এ ব্য়াপারে সচেতনাতা বাড়ানোর কাজ করা যাবে। এর পাশাপাশি তাদের থ্য়ালাসেমিয়া নিয়েও সচেতন করা যাবে। তার বিরুদ্ধে লড়ার হাতিয়ার পাবো আমরা।"