এই নিয়ে দ্বিতীয় দিন ইডি অফিসে হাজিরা দিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগসূত্রের জেরে নাম জড়িয়েছে টলিউডের এই অভিনেতার। মঙ্গলবার ফের তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সেইমতো এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে হাজির হন বনি। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কুন্তল ঘোষ যে টাকা দিয়ে বনিকে গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন তা অভিনেতা ইডি-কে ফেরত দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
এদিন দুপুরে ইডি অফিস থেকে বেরোনোর সময় অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত সংবাদ মাধ্যমকে জানান, 'আমার থেকে যা যা ডকুমেন্টস চেয়েছিল আমি জমা করে দিয়েছি। হোপফুলি আমাকে আর আসতে হবে না। আমাকে আর হ্যারাস করবেন না। আমার তরফ থেকে যা যা করার ছিল আমি করে দিয়েছি। আমাকে আর ডাকা হয়নি। যা যা ডকুমেন্ট দেওয়ার ছিল আমি এদিকে দিয়ে দিয়েছি।' বনির কথায়, একবারই মাত্র ২০১৭ সালে গাড়ি কেনার সময় তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রানজাকশন করেছিলেন কুন্তল।
প্রসঙ্গত ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে এদিন দুপুরে সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। মঙ্গলবার কাঁটায় কাঁটায় দুপুর ১২টায় ইডি দফতরে হাজির হন এই টলিউড স্টার। ইডি সূত্রে খবর, জেলবন্দি তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলের থেকে নেওয়া টাকা ইতিমধ্যেই ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন বনি। এদিন মাথায় কালো টুপি ও মাস্ক পরে ইডি দফতরে আসেন বনি সেনগুপ্ত। গাড়ি থেকে নামতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরেন তাঁকে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে যান তিনি।
গত বৃহস্পতিবারই ইডির জেরায় কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করে নেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত । সেদিন ইডি দফতরে একপ্রস্ত জেরার পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে বেরিয়ে বনি বলেন, "কুন্তল ঘোষের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। গাড়ি কেনার জন্য টাকা দিয়েছিলেন কুন্তল।" তার বদলে অনেকগুলো ইভেন্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। বনির কথায়, একবারই মাত্র ২০১৭ সালে গাড়ি কেনার সময় তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রানজাকশন করেছিলেন কুন্তল। সেই বিষয়ে জানতেই ফের মঙ্গলবার তাঁকে কলব করে ইডি।