Advertisement

Bratya Basu: বিক্ষোভের মুখে আহত ব্রাত্য বসু, এখন কেমন আছেন শিক্ষামন্ত্রী? 

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার ক্যাম্পাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

হাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: টুইটারহাসপাতালে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ছবি: টুইটার
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 02 Mar 2025,
  • अपडेटेड 8:39 AM IST
  • যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
  • শুক্রবার ক্যাম্পাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। শুক্রবার ক্যাম্পাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বাম ও অতিবাম ছাত্র সংগঠনের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। অভিযোগ, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়, এমনকি তাঁর গাড়ির চাকা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে গেলে কোনওমতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছন মন্ত্রী।

কেমন আছেন ব্রাত্য বসু?
সূত্রের খবর, হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার ইউনিটে মন্ত্রীর চিকিৎসা চলেছে। জানা গেছে, শরীরের একাধিক স্থানে আঘাত পেয়েছেন তিনি। বিশেষ করে থাই মাসলে গুরুতর চোট রয়েছে, ডান দিকের ঘাড়ের উপরেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিক্ষোভের সময় গাড়ির কাচ ভাঙার ফলে কাঁচের টুকরো মন্ত্রীর বুকে এসে লাগে, এতে রক্তপাত হয়। এছাড়া বাঁ হাতেও চোট পেয়েছেন তিনি। হাসপাতালে এক্স-রে ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।

মন্ত্রী কী বললেন?
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “একটু ভাল আছি। প্রাথমিক চিকিৎসা করালাম। এক্স-রে করা হয়েছে। আমি সামনের সারিতে বসে থাকায় কাঁচের টুকরো লেগেছে। বিক্ষোভকারীরা ইট এবং ঘুষি মেরে গাড়ির কাচ ভেঙেছে। পেছন থেকে টানাটানি করার সময় আঘাত পাই, তাই এক্স-রে করা হয়েছে।”

যাদবপুরে কী হয়েছিল?
শিক্ষামন্ত্রীর বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় বাম-অতিবাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। দাবি ওঠে, অবিলম্বে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ঘোষণা করতে হবে। একসময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা মন্ত্রীর গাড়ির চাকার হাওয়া খুলে দেন এবং গাড়ি ভাঙচুর করেন। শিক্ষামন্ত্রী প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে পড়েন ক্যাম্পাসে। ধস্তাধস্তির মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশাসনের তরফে বিক্ষোভের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন জরুরি, এবং তাঁরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকবেন।

Advertisement


 

Read more!
Advertisement
Advertisement