
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে স্বস্তিতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকরা। এদিনের রায়ে জানানো হয়েছে, "দীর্ঘ ৯ বছর পর চাকরি বাতিল করা হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে।" মামলা সম্পর্কে কলকাতা ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কিছু অনিয়ম হয়েছে। কিন্তু তার জন্য সবার চাকরি বাতিল করা উচিত নয়।
তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও কর্মরত শিক্ষকরা। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের রায়ের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে এই নির্দেশ বহাল রেখেছিল।
কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করে আবার মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ঘুরে ফের মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই। অবশেষে গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির বিস্তারিত শুনানি শুরু হয়। গত ১২ নভেম্বর শেষ হয় শুনানি। এরপর আজ, ৩ ডিসেম্বর মামলার রায়দান করল আদালত।