আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে (RG Kar Medical College) তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ড সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, আরজি কর কাণ্ডে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে অবিলম্বে তুলে দিক কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, পুলিশ ও হাসপাতালের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। আগামিকাল অর্থাত্ বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে এই মামলার তদন্তের সমস্ত নথিপত্র সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে কলকাতা পুলিশকে।
পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট
আরজি কর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের থেকে কেস ডায়েরি তলব করা হয়। দুপুর ১টার মধ্যে সেই কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রীতিমতো ভর্ত্সনা করে হাইকোর্ট। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫ দিনের ছুটিতে গেলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর মামলায় হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসন কখনওই নিহত চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষে ছিল না। সেই সঙ্গে আদালত আরও বলে, এই ঘটনা ব্যতিক্রমী।
নৃশংসতার সব দৃষ্টান্তকে কার্যত ছাপিয়ে গিয়েছে
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে যেভাবে খুন করা হয়েছে, নৃশংসতার সব দৃষ্টান্তকে কার্যত ছাপিয়ে গিয়েছে এই ঘটনা। দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। আজ থেকে সব হাসপাতালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওপিডি পরিষেবা। চরম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল, সুপার পদত্যাগ করেছেন। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়ার ডাক্তারদের দাবি, এই ঘটনায় একা সঞ্জয় রায় জড়িত নয়। আরএ একাধিক অপরাধী রয়েছে এর পিছনে। এমনকী মৃত তরুণী ডাক্তারের বাবাও banga.aajtak.in-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না, তাঁর মেয়েকে এই ভাবে ধর্ষণ করে খুন করেছে কোনও একজন ব্যক্তি।