রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের নির্দেশ, দ্রোহের কার্নিভাল হবে। আজই হবে। কারণ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার সবার রয়েছে। বিচারপতি আরও জানান, কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারা জারির নির্দেশিকা রয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তা খারিজ করে দেওয়া হল। তবে রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের মাঝে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে।
রানি রাসমণি রোডে গার্ডরেল দিয়েছিল পুলিশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই সেই গার্ডরেল সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আজ সকালে গার্ডরেল বসানো হয় রাস্তায়। বড় বড় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই এই গার্ডরেল সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করে পুলিশ। একটার পর একটা ব্যারিকেড খুলে ফেলা হচ্ছে রানি রাসমণি রোড থেকে।
তবে কলকাতা হাইকোর্ট বেশ কয়েকটা নির্দেশ দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের। তাদের রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ রোড এলাকায় থাকতে হবে। কত মানুষের জমায়েত হবে তা জানাতে হবে কলকাতা পুলিশকে। ব্যারিকেডের ভিতরে প্রতিবাদ করতে হবে তবে শান্তিপূর্ণভাবে। আবার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা যেন ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।
প্রসঙ্গত, আজ বিকেল চারটেয় দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দেয় ডাক্তাররা। তবে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করে কলকাতা পুলিশ। কলকাতার মোট ৯ জায়গাতে এই বিধি জারি করা হয়। তবে তার বিরোধিতা করে ডাক্তাররা। মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের অবসরকালীন বেঞ্চে।
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয় পুজোর কার্নিভাল রয়েছে। সেখানে বহু মানুষের জমায়েত হবে। অন্য কোনওদিন দ্রোহের কার্নিভাল করা হোক। প্রয়োজনে রামলীলা ময়দানে করা হোক দ্রোহ কার্নিভাল। তবে মামলাকারীদের আইনজীবী কোর্টে জানান, ডাক্তাররা গুন্ডা নন। তাঁরা এর আগেও শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন ও জমায়েত করেছে। আজও করবে।
বিচারপতি জানান, যে ১৬৩ জারি করা হয়েছে তা অসামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই কারণে তা খারিজ করা হল। দ্রোহের কার্নিভাল হবে। সব মানুষ সেখানে যেতে পারবেন। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার সবার আছে। রাস্তার উপর যত গার্ডরেল আছে তা সরিয়ে দিতে হবে। ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকেই।